ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো বিনিয়োগ করলেই নাগরিকত্ব দিতো সাইপ্রাস। নিয়ম অনুযায়ী ২.৫ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ২৫ কোটি টাকা সাইপ্রাসে বিনিয়োগ করলেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যেত।
২০১৩ সালে এ নিয়ম চালু করার পর থেকে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের পাসপোর্ট দিয়ে এ পর্যন্ত ৭ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে দেশটির সরকার। ইউরোপের অন্যান্য দেশে এ পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব নেওয়া একটু কঠিন হয়ে গেলে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ধন কুবেররা ইউরোপের শান্তপ্রিয় এ দেশটিকে বেছে নেয় নাগরিকত্বের জন্য।
কিন্তু এ বছরেই ধন কুবেরদের ইউরোপের নাগরিকত্বের স্বপ্ন বিলীন হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে আলজাজিরায় ‘সাইপ্রাস টাকার বিনিময়ে এশিয়ার দেশগুলোর কালো তালিকাভুক্ত লোকদের পাসপোর্ট দিচ্ছে’ এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়- মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও এলিট শ্রেণীর লোকেরা এ সুবিধা গ্রহণ করছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজ নিজ দেশে দুর্নীতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কালো তালিকাভুক্ত। সংবাদটি নজর এড়ায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও। এটা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে সাইপ্রাস সরকার।
অবশেষে সাইপ্রাস সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিনিয়োগ করলেই আর কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের কোনো দেশের নাগরিক আর আগের মতো টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্ব পাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
নিউজ ডেস্ক