ইউরোপে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। সাইপ্রাসেও দ্বিতীয়বারের মতো মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলছে এই ভাইরাস।
বিগত সপ্তাহে প্রতিদিন ১৫০ জনের ওপর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। প্রথম ধাপে সাইপ্রাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে না গেলেও দ্বিতীয় ধাপে অল্প কয়দিনেই তা ৪ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস লকডাউন শেষে জুনে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছিল। অর্থনৈতিকভাবে যে ধাক্কা এসেছিল তা প্রায় কাটিয়ে ওঠার পথেই হাঁটছিল সাইপ্রাস। সবকিছু আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল।
প্রথম ধাপে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারা প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু বিগত এক দুই সপ্তাহ ধরে যেভাবে করোনা ভাইরাস আবার প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে চিন্তিত সাইপ্রাস সরকার।
দশ লাখেরও কম জনসংখ্যার এ দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৩০ জন, মৃত্যু ২৫ এবং সুস্থ হয়েছেন ১৮৮২ জন।
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে। সরকারের নিয়ম অমান্য করলে ৩০০ ইউরো জরিমানা দিতে হবে। প্রতিদিন ৫০-৬০ জনের বেশি জরিমানার খাতায় নাম লেখাচ্ছেন।
সাইপ্রাসে পুনরায় লকডাউন দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের ওপর এটা নির্ভর করছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই লকডাউনে যেতে পারে সাইপ্রাস।
এদিকে করোনা ভাইরাসের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাইপ্রাসের কলেজগুলো। এগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি শিক্ষার্থী নির্ভরশীল। করোনা ভাইরাসের কারণে গত জুন-জুলাই সেমিস্টারে কোনো শিক্ষার্থী আনতে পারেনি তারা। আগামী জানুয়ারি সেমিস্টারে স্টুডেন্ট আনার জন্য কার্যক্রম শুরু করলেও তা পুনরায় স্থগিত করে রেখেছে। এভাবে চললে হয়তো আগামী সেমিস্টারেও কোনো শিক্ষার্থী আনতে পারবে না।
অন্যদিকে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী সাইপ্রাসে আছেন, তাদের কারো টিউশন ফি কমায়নি কলেজগুলো। এমনকি সরকার থেকেও কোনো প্রকার সুবিধা দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় অনেকেই দেশ থেকে টাকা এনে টিউশন ফি চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
নিউজ ডেস্ক