ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
পরে বিশেষ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
ভাষা আন্দোলনসহ বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনে শহীদ হওয়া সকল বীরের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। বক্তরা আলোচনায় ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী বক্তব্যের শুরুতে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ভাষা আন্দোলনের অন্যতম গৌরবময় অবদান বৈশ্বিক পরিসরে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা, যা বাংলাভাষী মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি দিবসটির তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করে বলেন, একুশের চেতনাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্তম্ভ রচনা করে দিয়েছিল। একটি জাতির কৃষ্টি-কালচার তার মায়ের ভাষার মাঝে প্রোথিত থাকে এবং কোন জাতির সমৃদ্ধি ও প্রগতি তার ভাষার সঠিক মূল্যায়নের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। একুশের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য সর্বস্তরে নির্ভূল বাংলা ভাষার ব্যবহার এর উপর তিনি গুরুত্ব প্রদান করেন।
পরিশেষে তিনি প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও প্রসারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন রচনা করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক