পর্তুগাল থেকে: ইউরোপের অভিবাসীবান্ধব দেশ পর্তুগাল। পাশাপাশি এরই মধ্যে দেশটি অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যতি অর্জন করেছে।
এ চিত্রই ফুটে উঠেছে পর্তুগাল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিসের (এসইফ) কার্যক্রমে।
পর্তুগালের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যেই ২০২১ সালে ১ লাখ ৯ হাজার বিদেশি নাগরিক বৈধতা পেয়েছেন (রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছেন)। পর্তুগালে ২০২০ সালে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৫ জন। পর্তুগালে বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ ৭১ হাজার অভিবাসী বৈধভাবে বসবাস করছেন, যা অভিবাসী বসবাসের সংখ্যার দিক দিয়ে রেকর্ড।
তাছাড়া পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মনে করেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেখানে অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর নীতি অনুসরণ করে, সেখানে পর্তুগাল অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সহজতম শর্তে বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া চালু রেখেছে, যা অনেক সৌভাগ্যের বিষয়।
পর্তুগালে ক্ষমতাসীন দল সোস্যালিস্ট পার্টি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, সহজ শর্তে বৈধতা লাভের আশায় প্রতিবছর কয়েক লাখ অভিবাসী পাড়ি জমান দেশটিতে। দেশটিতে বৈধ বা অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করার দেড় থেকে ২ বছরের মধ্যে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান অভিবাসীরা। পাশাপাশি বৈধভাবে ৫ বছর যে কেউ বসবাস করার পর দেশটিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, পর্তুগালে এখনও অনেক অভিবাসীর প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে ছাত্র ভিসায় যারা আসতে ইচ্ছুক তারা পর্তুগালে এসে দেশটির ভাষা শিখে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন। তাছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যারা দক্ষ কর্মী রয়েছেন, তারাও পর্তুগালে আসতে পারেন। কারন এখনো পর্তুগালে দক্ষ কর্মীর সংকট রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এসআই