রাজবাড়ী: বটম ক্লিন রেসওয়ে পদ্ধতিতে মাছ চাষের মাধ্যমে সফলতা পেয়েছে রাজবাড়ীর ‘গোয়ালন্দ ফিসারিজ’।
জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রিয়াজউদ্দিন পাড়ায় প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ওপরে প্রতিষ্ঠিত এই ফিসারিজ।
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখতে ও সেখানের তাজা সুস্বাদু মাছ কিনতে স্থানীয়রাসহ আশপাশের জেলার দর্শনার্থীরা আসেন এখানে।
চারটি বটম ক্লিন রেসওয়ে পুকুর রয়েছে এই প্রজেক্টে। পাশাপাশি রয়েছে পদ্মা- যমুনা নামে বিশাল আকৃতির বড় দুটি লেক। এখানে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করা হয়।
ফরিদপুর জেলার আলীপুর থেকে মাছ কিনতে আসা মো. জাহিদুল ইসলাম আকাশ বলেন, এখানের মাছে নদীর মাছের স্বাদ পাই বিধায় আসি। পাশাপাশি খোলামেলা পরিবেশে একটু ঘুরে বেড়ানোর জন্য এই স্থানটি অনেকের পছন্দের।
দর্শনার্থী ফারিয়া সুলতানা বলেন, এখানে রঙিন মাছের প্রদর্শনী দেখে অনেক ভালো লেগেছে। একসঙ্গে এত বড় বড় রঙিন মাছ এর আগে কোথাও দেখেনি।
মাছ কিনতে আসা রতন সরকার বলেন, নিজে এসে বিক্রয় কেন্দ্রে রাখা তাজা মাছ কিনলাম। এখানে উৎপাদিত মাছ খেতে নদীর মাছের মত স্বাদ। এই কেন্দ্রে ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনেরও বড় বড় মাছ পাওয়া যায়।
বিক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার মো. জহুরুল ইসলাম ও কর্মচারী মো. সবুজ শেখ জানান, এখানে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়ে থাকে। এই প্রজেক্টে শতাধিক মানুষের কর্মস্থান হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন।
গোয়ালন্দ ফিসারিজের স্বত্ত্বাধিকারী শেখ মো: নিজাম বলেন, পুকুর থেকে মাছ তোলার পর সেই মাছ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে অন্তত ৫/৬ ঘন্টা অথবা তারও বেশি সময় লাগে। এতে ওই মাছের স্বাদ কিছুটা নষ্ট হয়। মানুষ যেন তাজা সুস্বাদু মাছ সুলভ মূল্যে কিনতে পারে সেজন্য গোধূলী বাজার নামে বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছি। এছাড়া উৎপাদিত মাছ বাজারের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে কয়েক ধাপে মধ্যস্বত্ত্বভোগীর কারণে উৎপাদনকারী কম দাম পায়, আবার ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হয়। এটা বিবেচনা করে প্রজেক্টেই উৎপাদিত মাছ বিক্রির উদ্যেগ গ্রহণ করেছি এবং ক্রেতাদের ব্যাপক সারা রয়েছে। ভবিষ্যতে একে পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এসএএইচ