ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বোরো আবাদ: শ্রমিক পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
বোরো আবাদ: শ্রমিক পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলের মাঠজুড়ে চলছে বোরো আবাদের ধুম। আবাদ কার্যক্রমকে সফল করতে চাষিরা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে শ্রীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি থাকায় তাদের অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে।  

শীতে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় কাণিপ্রতি এবার বাড়তি খরচ গুনতে হবে তাদের। মৌসুমে প্রচণ্ড শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত। আবার শ্রমিক পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

সরেজমিন দেখা যায়, কৃষকরা ফসলের মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে চারা রোপণ করছেন। অনেকে আবার হাল চাষ নিয়ে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। ফসলি এসব জমিগুলোতে চলছে গভীর নূলকুপের মাধ্যমে সেচের কাজ।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ব্রি-ধান ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের বোরোর ব্যাপক আবাদ চলছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। হাওড়বেষ্টিত এ জেলায় ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বোরো আবদ কার্যক্রম, যা চলবে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।  

বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন। তবে নতুন জাতেরর সম্প্রসারণ হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।  

আবাদ কার্যক্রম সফল করতে জেলায় ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০০ হেক্টর বেশি।  

বোরো চাষিরা জানান, শীতের কারণে চারার বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ভরা মৌসুমে শীতের কারণে চাষাবাদ করতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়ায় প্রতিকাণি জমিতে সেচের খরচও বেড়েছে। এতে কাণি প্রতি সার্বিক উৎপাদন খরচ ৯-১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১২-১৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। শ্রমিক পাওয়া গেলেও গুনতি হচ্ছে বাড়তি টাকা।

একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বছর ফসল উৎপাদনের সময় ধানের দাম পড়ে যায়। এতে উৎপাদন খরচ উঠাতেই তাদের হিমশিত খেতে হয়। ফলে তাদের ঋণের বোঝা বাড়ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রাসারণের উপ-সহকারী পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, শীতে বোরো বীজতলা রক্ষার পাশাপাশি বোরোর আবাদ সফল করতে জেলায় ৬৬ হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় সার-বীজ দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বীজতলা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য জমিতে আটকানো সেচের পানি সকালে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।