ঢাকা, বুধবার, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ রজব ১৪৪৬

কৃষি

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৫
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুদকের অভিযান দুদকের অভিযান

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিতরণ করা ১১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।

 

খাতা কলমে ভর্তুকি মূল্যে মেশিন বিতরণের রেকর্ড থাকলেও, মেশিনগুলো কোথায় আছে, কোন কৃষক ব্যবহার করছে সেব বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি কৃষি কর্মকর্তারা।  

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুদক, বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে।  

এ সময় সাবেক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

দুদক কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, ২০২১-২২ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি ভাবে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে উপজেলার সাধারণ কৃষকদের মধ্যে স্বল্প সময়ে ধান কাটার সুবিধার্থে ১৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ধানকাটা ও রোপণের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র) বিতরণ করা হয়। এর প্রতিটি মেশিনের মূল্যে ধরা হয়েছে ৩০ লাখ থেকে ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষক বহন করেছে ৯ লাখ টাকা। বাকি টাকা সরকার ভর্তুকি দিয়েছেন। কাগজে কলমে ১৪টি মেশিন বিতরণ দেখানো হলেও বাস্তবে ১১টি মেশিনের কোনো হদিস মিলছে না।  

তালিকাপ্রাপ্ত সুবিধাভোগী অনেকেই বলছেন, তার কাছ থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তালিকায় নাম সংযুক্ত করে বিতরণের ছবি তুলেই শেষ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে টাকাও নেয়নি, আবার মেশিনও দেয়নি। মেশিনগুলো ভর্তুকি মূল্যে কাদের দেওয়া হয়েছে, তার সঠিক জবাব দিতে পারেনি কৃষি কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এ মেশিন বিতরণে অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।