ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় রোপা-আমন ধান চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষক। জমি তৈরি, চাষাবাদ আর জমিতে চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
এরই মধ্য শ্রাবণের একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন। কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টিকে উপক্ষো করে উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমন চাষকে ঘিরে মাঠে মাঠে যেন এখন উৎসব শুরু হয়েছে। তবে তীব্র দাবদাহে আর বৃষ্টির অভাবে সালথার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণের ভরা মৌসুম হলেও জমিতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আমনের চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। কিন্তু, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সে সমস্যা অনেকটা কেটে গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল দিয়ে কোপাচ্ছেন। কোথাও কোথাও মাঠ সমান করার জন্য শ্যালোইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে মইয়ের কাজ। কোনো কোনো স্থানে পাওয়ার টিলার ছাড়াও কৃষকরা নিজেই মই টেনে জমি সমান করার দৃশ্য দেখা গেছে।
আবার কোথাও আমন ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। কেউ আবার জৈব সার জমিতে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে তৈরি জমিতে বৃষ্টির পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। রোদের গরমে কৃষকদের শরীর থেকে বইছে ঘাম, মাথায় বেঁধে রেখেছেন গামছা।
উপজেলার ধলা মোল্যা, কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এলাকার জমিগুলোতে বছরে তিন ধরনের ফসল আবাদ হয়ে থাকে। আমরা পাট কাটার আগেই, পাটের মধ্য দিয়ে ধানের বীজ বপন করেছি। আবার কিছু জমিতে পাট কাটার পরে ধানের চারা রোপণ করছি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যেই ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদি আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকে আর বর্ষার পানিতে যদি ধান তলিয়ে না যায় তাহলে, এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে।
সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার বলেন, সালথায় এবার রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা রয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৮৫০ হেক্টর। তবে আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন কৃষকের কাছে গিয়ে ধান চাষে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এসআরএস