মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ‘বিনা ধান-২৫’ এর পরীক্ষামূলক চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প সময়ে ধানের বাম্পার ফলনে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
নতুন উদ্ভাবিত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বোরো জাতের ‘বিনা ধান-২৫’। বাসমতি চালের বিকল্প হিসেবে এ ধান চাষাবাদে চিকন চাল আমদানি কমাতে পারে।
কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের জলালপুর গ্রামে এবছর ‘বিনা ধান-২৫’ পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করা হয়। মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. নওরুজ মিয়াসহ এলাকার তিনজন কৃষক চার একর জমিতে বিনা ধান-২৫ এর চাষাবাদ করেছেন।
নওরোজ মিয়া ছাড়াও একই এলাকার কৃষক সুলতান মিয়া ও শফিক মিয়া এই ধানের চাষাবাদ করেন। উচ্চ ফলনশীল হলেও ধানটি হাইব্রিড নয় বলে দাবি করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিনা ধান-২৫ বোরোর উন্নত একটি নতুন জাত। নতুন উদ্ভাবিত এই ধানের জাতটি সর্বাধিক লম্বা ও সরু। এর চালের আকার চিকন ও লম্বা। বিদেশ থেকে যে বাসমতি চাল আমদানি করা হয় এটাও অবিকল সেই চালের মতো। এ জন্য এই চালের চাহিদা ক্রেতাদের কাছে বেশি। এর বাজারমূল্যও বেশ ভালো। উৎপাদন ব্যয় অন্য ধানের মতোই। তবে ফলন অন্য ধানের চেয়ে ভালো হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এই ধান রপ্তানিও করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক নওরোজ মিয়া বলেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদন হওয়ার আশাবাদী। এই প্রথম নতুন জাতের বিনা ধান-২৫ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য জাতের তুলনায় বিনা ধান-২৫ জাতে শীষ প্রতি ধানের পরিমাণও বেশি। গাছের শীষ প্রতি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০টি ধান ধরেছে।
চাষাবাদে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় নিজেকে আরো উদ্বুদ্ধ করে তুলছে বলে মনে করেন কৃষক নওরোজ।
কমলগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দেব বলেন, পরীক্ষামূলক চাষাবাদে এবং কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ধান কাটা হবে। তবে বিনা ধান-২৫ জাতের এই ফসলটি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের উপস্থিতিতে মাঠ দিবসেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
বিবিবি/এসএএইচ