ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বিএমডিএর সেচ প্রকল্পে অচলাবস্থা: ১২শ বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
বিএমডিএর সেচ প্রকল্পে অচলাবস্থা: ১২শ বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অবহেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে বড়বিলের প্রায় ১২শ বিঘা জমির বোরো ধানে সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ধান গাছ শুকিয়ে যেতে শুরু করায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ওই এলাকার কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এর সত্যতা মিলেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বিএমডিএর গোমস্তাপুর জোনের আওতায় রামদাস সেতুর নিচে পুনর্ভবা নদী থেকে সেচ পাম্পের (মর্টারের) মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে আকারির বাঁধ (খাঁড়ি) হয়ে আসা সেচের পানি ৫টি এলএলবি পাম্পের মাধ্যমে বড়বিল এলাকার জমিগুলোতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ ওই খালে গত কয়েকদিন ধরে পানি সরবরাহ না করায় কৃষকরা জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে অনাবৃষ্টি ও চলতি তাপদাহের মধ্যে ঠিকমতো জমিতে পানি সরবরাহ না করায় প্রায় ১২শ বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহের মধ্যে কয়েকদিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় পানির অভাবে ওই এলাকার জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। মাটি ফেটে চৌচির হতে আরম্ভ করেছে। এছাড়া ধানগাছগুলো শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কৃষকরা জানায় এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

ওই এলাকার কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সোনার্দী জানান, পানির উৎস মুখ সচল রাখতে তারা নদী খনন করে বিএডিএকে সহযোগিতা করার পরও সেচ কাজ স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি সেচ যন্ত্রে কোনো সমস্যা হলে বিএমডিএর সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রিশিয়ানদের (মেকানিক) সেবা পাওয়া যায় না।

তবে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই এলাকার সেচের পানির মূল উৎস পুনর্ভবা নদীর পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিএমডিএ অপারেটর আনোয়ার হোসেন জানান, কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে সেচের পানি না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গত দুইদিন ধরে ওই এলাকায় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। সেচ পাম্পগুলো নদীর পানির কাছাকাছি নিয়ে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএমডিএ, গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, কৃষকদের অভিযোগ সঠিক নয়। নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা দ্রুত কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর ইলেকট্রিশিয়ানরা (মেকানিক) যদি সেবা ঠিকমতো না দেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।