ঢাকা: দেশে আকস্মিক বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেসব জেলার কৃষকদের সেবা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্যাপরবর্তী সময়ে উঁচু এলাকায় আপৎকালীন নাবী জাতের রোপা আমন বীজতলা তৈরি, ভাসমান বীজতলা তৈরি, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উফশী জাত আবাদ, স্বল্প মেয়াদী রোপা আমন ধানের (ব্রি ধান-৫৬, ৫৭, ৭৫, ৮৭) আবাদ, বন্যাসহনীয় জাত ব্রি ধান-৫১, ৫২, ৭৯ জাতের আবাদ বৃদ্ধি, ভাসমান বেডে শাক সবজি আবাদের ব্যবস্থা করা, বস্তায় লতা জাতীয় ও মশলা (মরিচ, আদা) আবাদ, নাবী জাতের রোপা আমন, বিআর-২২, ২৩ এবং স্থানীয় গাইঞ্জা, আবছায়া চাষ, ডাবল ট্রান্সপ্ল্যান্টিং পদ্ধতিতে রোপা আমন চাষ বৃদ্ধি এবং ধানের অঙ্কুরিত বীজ সরাসরি বপন করার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
২২ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে, আকস্মিক এ বন্যায় মুন্সিগঞ্জে ২৩০ দশমিক ৭ হেক্টর, সিলেটে ৩ হাজার ৩৮৯ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৪৩ হাজার ২৭১ হেক্টর, হবিগঞ্জ ৬ হাজার ৮৯৪ হেক্টর, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৮৯ হেক্টর, কক্সবাজারে ৪ হাজার ২৮৯ হেক্টর, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৭৪৫ হেক্টর, ফেনীতে ৩১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, লক্ষ্মীপুরে ৯ হাজার ৪৭৮ হেক্টর, কুমিল্লায় ৬৫ হাজার ১৩৫ হেক্টর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ হাজার ৪১৪ হেক্টর এবং চাঁদপুরে ১০ হাজার ৯২২ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্ত ১২ টি জেলার মোট ফসলের ক্ষতির পরিমাণ- আউশ ৬৮ হাজার ২০৯ হেক্টর, আমন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ হেক্টর, বোনা আমন ৫৭০ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর, শাক-সবজি ৯ হাজার ৫১৯ হেক্টর, আখ ৩৮৪ হেক্টর ও পান ১৯১ হেক্টর।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
জিসিজি/আরএইচ