ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

লাঙ্গল, নিড়ানি, কোদালের সঙ্গে স্মার্টফোন!

আবু খালিদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
লাঙ্গল, নিড়ানি, কোদালের সঙ্গে স্মার্টফোন!

ঢাকা: লাঙ্গল, নিড়ানি বা কোদাল, আবহমান কাল জুড়ে চলে আসা এসব কৃষি উপকরণের দেখা সব সময়ই মেলে কৃষকের হাতে। তবে এবার ফসল ফলাতে কৃষকের হাতে এসবের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্মার্টফোনও।

এখন থেকে ফসলের রোগ বালাইসহ আবাদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান কৃষকরা পাবেন হাতে থাকা এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে।

কিভাবে এই সেবা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে, সেই মহাযজ্ঞের প্রস্তুতিই এখন চলছে খামারবাড়িতে।

সরকারি সূত্রের খবর মোতাবেক, প্রথমে প্রকল্প আকারে সেবাটি কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে। কৃষকরা যেন সঠিকভাবে সেবাটি গ্রহণ করতে পারে সেজন্য তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগও রয়েছে এ প্রকল্পের প্রস্তাবনায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষি এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষির প্রায় সব ধরণের সমস্যার সমাধান বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কৃষকের মাঝে এর ব্যবহার খুব বেশি বাড়ছে না।

যে হাত দিয়ে লাঙ্গল, কোদালের মাধ্যমে জমিকে চাষের উপযোগী করে তুলছেন কৃষকরা, সেই একই হাত দিয়েই স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন তারা। এছাড়া প্রযুক্তির সঙ্গেও আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করা যাবে কৃষকদের। যার প্রভাবে পরবর্তীতেও জীবনের অন্যান্য সমস্যায় প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন তারা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে নিজ দফতরে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় এ বিষয়টিই তুলে ধরলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ই-কৃষির মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা জোরদারকরণ ও ডিজিটাল ডকুমেন্টশন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এসব সেবা দেয়া হবে কৃষকদের।

এ কর্মকর্তা বলেন, এতে দু ধরণের প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। সঠিক ও স্বচ্ছ আবহাওয়ার তথ্য নিয়ে আবহাওয়া বার্তা প্রদানের পাশাপাশি কৃষক এবং সম্প্রসারণ গবেষকদের সংযোগ স্থাপনও হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। এতে কৃষকরা গবেষক, বৈজ্ঞানিকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।  

কৃষিবিদ ও কৃষকরা মনে করছেন, বর্তমানে কৃষিতে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এর ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সেই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন হবে। তাছাড়া এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের নতুন নতুন জাতসহ প্রযুক্তি সম্পন্ন কৃষি উপকরণ সম্পর্কে জানার সুযোগও পাবেন।

একসময়ে দেখা যাবে শতকরা ১০০ ভাগ কৃষকই স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কৃষিকে আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
একে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।