মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃষিমন্ত্রী ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্টি বোর্ডের পঞ্চম সভায় একথা জানানো হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, কৃষক ও কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কৃষিতে এ সাফল্য।
সভায় জানানো হয়, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক, উন্নত ও টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহারকে শক্তিশালী করেছে। এছাড়া খাদ্য উৎপাদন খরচ হ্রাস করার জন্য সারের মূল্য একাধিকবার কমানো হয়েছে। কৃষি শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ কাজ এগিয়ে চলছে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করাসহ ইতোমধ্যে চাল রফতানিও করেছে বাংলাদেশ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে কৃষি উন্নয়নে অনুপ্রেরণা জোগাতে এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের যে জয়যাত্রা শুরু করেছিলেন বর্তমান সরকার তা অনুসরণ করে সে অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে আরও বেগবান করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এতে বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আশরাফ উদ্দিন খসরু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা।
প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার দেওয়া হয় ১০টি বিষয়ে ওপর বিশেষ অবদানের জন্য। এগুলো হচ্ছে- কৃষি গবেষণা অবদান, কৃষি সম্প্রসারণে অবদান, প্রাতিষ্ঠানিক/সমবায়/কৃষক পর্যায়ে উচ্চমান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপন, কৃষি উন্নয়নে জন সচেতনতা বৃদ্ধি, উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার, কৃষিতে নারীদের অবদান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার স্থাপন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনায়ন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি চাষ, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
জিসিজি/আরবি/