ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯ মহররম ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

অপেক্ষার আক্ষেপ | নাজমুল ইসলাম সাদ্দাম

শিল্প-সাহিত্য | গল্প | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
অপেক্ষার আক্ষেপ | নাজমুল ইসলাম সাদ্দাম

অনুরিমা,
তোমার বুকসেলফে থাকা বইগুলোর কাভার পেজের পরের পাতাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছ কখনো? চিলেকোঠার সেপাই-এর কাভার পেজের পরের পাতা। খুব আলতো করে কষ্টিপাথর-এর পাতাগুলোতে হাত বুলিয়েছ কখনো।

কিংবা নোট দেওয়া অংশগুলো পড়েছ?

আচ্ছা কখনো কি রেহেনুমা বিনতে আনিসের বইয়ের নামটা নিয়ে ভেবেছো। কেন এই বই তোমার হস্তগত হয়েছে?

এখনো কি মধ্যরাতে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে গেলে, শহর থেকে শহরে সাহসের বাণিজ্য চলে?

আচ্ছা, সেই ডানাকাটা মুরগির খবর কী? ধানমাড়াইয়ের মেশিনে একটা ডানা কেটে গেল। তোমার সে কি কান্না! এক ডানা ছাড়াই যাকে পেলে পুষে বড় করছিলে।

তোমার বাসার পাশের মসজিদের সামনের ধানক্ষেতের ওপারের আকাশ গোধূলির জন্য অনিন্দ্য আয়োজন করত, আকাশ কি তা এখনো করে?

আচ্ছা, তোমার কি সেই সাদা ফুলের আলোচনার বিকেলের কথা মনে আছে? বিশেষত বন বেলি। কোনো এক বৃষ্টিস্নাত সকালে হাতে হাত ধরে তোমার আমার বন বেলি তুলতে যাওয়ার কথা!

মনে আছে মহাদেব সাহার কবিতার সেই বৃহস্পতিবার কিংবা একসাথে কয়েক আলোকবর্ষ হেঁটে যাওয়ার কল্পনা?

তোমার কি মনে আছে তপ্ত দুপুরে লেকের ওপারে বসে পিঠা খাওয়ার সেই সময়টা কিংবা ভিসি চত্বরের আমলকি কুড়ানোর সেই মধ্যদুপুর?

তোমার হ্যান্ড ব্যাগে রাখা আমার সেই চিঠি, যেটা তোমার জীবনের প্রথম কোনো চিঠি, সেটা কি আজও আছে নাকি পুড়িয়ে ফেলেছ?

আচ্ছা, রাতে পানি তুলে রেখে সকালে বাসি পানি খাওয়ার যে অভ্যাস ছিল, সেটা কি এখনো আছে?

আমার শহর ছেড়ে যে দিন তুমি চলে গেলে, ডিসেম্বরের সেই সকালের কথা কি তোমার মনে আছে? বাস কাউন্টারে বসে তোমার সাথে কত কথা… 

তোমার শহরে আমার আগমন উপলক্ষে সবুজ একটা হিজাব কিনে তুলে রেখেছিলে। আমি আসলে পরবে বলে, আচ্ছা, সেটা কি আজও তুলে রেখেছ?

তোমাদের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণের ঘরটা আমাকে স্থায়ীভাবে ভাড়া দিতে চেয়েছিলে। খুব জানতে ইচ্ছে করে, ঘরটা কি দামে ভাড়া দিয়েছ।

নভেম্বরের আচমকা বৃষ্টির কোনো এক সকালে শাল গায়ে জড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা কফির মগ হাতে বারান্দায় বসে দুজন মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে মুখোমুখি বসে বিভূতিভূষণ কিংবা মানিক নিয়ে আলোচনার যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা মনে পড়ে তোমার?

তোমার কি মনে পড়ে সোহরাওয়ার্দী কিংবা শের-ই-বাংলার সেই সকাল? মনে পড়ে তপ্ত দুপুরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়া, মালিবাগের সেই দুপুর, কিংবা জাহাঙ্গীর গেটের সেই সন্ধ্যা? হাত ধরে যখন রাস্তা পার করে দিই, ক্ষণিকের জন্য কি তোমার হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়েছিল?

টিএসসি কিংবা বইমেলার সেই মধ্যদুপুর, কিংবা টংয়ের ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপের গল্পদের কি মনে আছে তোমার? সেদিনের সেই ফুসকা বিলাসের কথা মনে পড়ে?

রিকশা থেকে নামতে গিয়ে যে তোমার গোড়ালির উপরে কেটে গেল। সিনড্রেলাকে দিয়ে তুমি গজ আনালে। নিজেই বাঁধলে। খুব কান্না করেছিলে কাটার দাগ হয়ে গেছে তাই। যে দাগের অস্তিত্ব আমি ছাড়া কোনো পুরুষের জানার কথা ছিল না। আচ্ছা, সেই দাগটা কি মিলিয়ে গেছে?

তোমাকে বাড়ি ফেরার বাসে তুলে দিয়ে, তোমার বাস দৃষ্টিসীমার বাইরে যাওয়া পর্যন্ত যে তাকিয়ে থেকেছি, কখনও কি ফিরে দেখেছ?

পূর্ণিমার রাতে মেডিকেল কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকার সেই রাতের কথা কি মনে পড়ে তোমার?

সেই হলুদ জবার গাছটার কি খবর? কোথায় লাগিয়েছ? ফুল এসেছে?
তোমার ঘাড়ে যে একটা সিস্ট হয়েছিল, যেটা তুমি আমার উপস্থিতি ছাড়া অপারেশন করবে না বলে পণ করেছিলে, সেটা কি এখনো আছেই নাকি অপারেশন করিয়েছ?

আচ্ছা, তোমার কাছে আমার জন্য ধন্যবাদের একটা খাতা ছিল, আমাকে দেওয়া ধন্যবাদগুলো তুমি সেখানে জমিয়ে রাখতে। যেটা তোমার দামে আমার সাথে বিনিময় করার কথা ছিল। সেটা কি এখনো আছে, নাকি বাতাসে মিলিয়ে দিয়েছ?

তোমাকে একটা গল্প বলি,
হলে আমার পাশের রুমে থাকতেন রাহাত ভাই। আমি যখন ভর্তি হই, ভাই তখন থার্ড ইয়ারে। ধীরস্থির, ঠান্ডা মাথার মানুষ। হলের সবাই সবাইকে না চিনলেও রাহাত ভাইকে সবাই চিনত, তার অমায়িক ব্যবহারের কারণে। আমাদের কারো অসুবিধা থাকলে ভাইকে আগে জানাতাম। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সাথেও ছিল ভাইয়ের খুব ভালো সম্পর্ক। মার্স্টাসের পরপরই ভাইয়ের একটা সরকারি চাকরি হয়ে গেল। রাহাত ভাই হল থেকেই অফিস করতেন। একদিন রাতে ছাদে গিয়ে দেখি রাহাত ভাই আবছা আলো-আঁধারিতে অনুজ্জ্বল চাঁদের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি গিয়ে তার পাশে বসলাম। এতটা চঞ্চল মানুষ, যে দূর থেকে আমাকে দেখলেও ডাক দিতেন। কথা না বলে, চা না খাইয়ে আমাকে ছাড়তেন না। আমার সরব উপস্থিতিতে ভাই নির্লিপ্ত। বেশ কিছুক্ষণ পর ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কেমন আছি। সচরাচর ভাই এই প্রশ্ন করেন না। তার প্রশ্নের ধরন বরাবরই অন্য রকম। এই যেমন, গত সপ্তাহে আমার গায়ে জ্বর ছিল, এখনো জ্বর আছে কি না; কিংবা, বাড়িতে আব্বা অসুস্থ ছিলেন, এখন কেমন আছেন; গত সেমিস্টারের তুলনায় এই সেমিস্টারের সিজি কেমন; কোনটায় কতটা কমেছে বা বেড়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমার বুঝতে বাকি রইল না, কোনো একটা বড়সড় ঝামেলা হয়েছে। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ভাইয়া কী হয়েছে? আড়ষ্ট কণ্ঠে ভাইয়ের উত্তর ছিল—না কিছুই না।

আমার এই তিন বছরের হলজীবনে এই প্রথম রাহাত ভাইয়ের আড়ষ্ট কণ্ঠ আমার কানে বাজলো। আকাশে জমে থাকা কালো মেঘ যেমন দিগন্ত ছাপিয়ে বৃষ্টি নামায়, ঠিক তেমনি রাহাত ভাই আস্তে আস্তে কথা বলা শুরু করলেন।

ইয়াসমিন। তোদের এক সেশন আগে। ওর সাথে আমার শেষ যেদিন কথা হয় তার আগের দিন সন্ধ্যায় আমি বেশ বড় রকমের একটা বিপদের সম্মুখীন হই। অভ্যাসবশত টেক্সট করে ওকে জানাই। পরদিন সকাল পর্যন্ত ওর কোনো রেসপন্স পাইনি। আমার মেসেজ সিন করে রেখে দেয়। আমি ভেবেছিলাম কোনো বিপদ হলো কি না। সকালে কল দিই। বলে কোনো বিপদ-আপদ নেই। ভালো আছে। টেক্সটের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে বিয়ে নিয়ে ঝামেলায় আছে। তাই রিপ্লাই দিতে পারেনি।  
আমি আকাশ থেকে পড়ি। ছেলের সাথে নাকি তার বেশ কিছুদিন যাবত কথা হচ্ছে।  
“নন ক্যাডার, শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত, ছেলেটা ভালো” —এই কথাটা শোনার পর আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। আমার শরীর অবশ হয়ে আসে। আমি আর কথা বলতে পারি না। লাইনটা কেটে দিই। এরপর আর কথা হয়নি।

রাহাত ভাই একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, মনে কর, তোর শরীরটা কাদামাটির একটা ভূমি। চার বছর ধরে সেখানে একটা গাছ বড় হলো। হঠাৎই একদিন একটানে গাছটা উপড়ে ফেলা হলো, সেই শরীরের যে কষ্ট হয়, এই কষ্ট তার চেয়ে তীব্র।

শেষ যেদিন ওর সাথে আমার কথা হলো, সেদিন পর্যন্ত ওর সাথে আমার ৪ বছর ২ মাস ২ দিনের জানাশোনা। এই চার বছরে ওর আচরণে কখনো প্রকাশ পায়নি যে, সে আমাকে পছন্দ করে না। আমার সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক ছিল। বাংলাসাহিত্যের দিকপালদের কথা পড়লে দেখবি, ভালোবাসার কথা কাউকে বলে বোঝাতে হলে তাকে ভালোবাসা বলে না। একটা মানুষের প্রতি তোর আচরণ, কথাবার্তা এগুলোতেই ভালোবাসার ব্যাপারটা প্রকাশ পায়। ব্যক্তিভেদে ভালোবাসার ব্যাপারটা আলাদা হলেও ভালোবাসার রং একই। যেমন মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবের প্রতি ভালোবাসা।

মেয়েদের এই ব্যাপারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা প্রখর। ওর প্রতিটা কাজ, প্রতিটা কথায়, আচরণে এই ব্যাপারটা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেত। এই যেমন ধর, ওর মা-বাবা আমাকে খুবই পছন্দ করতেন। সেটা আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছে। ওর এক চাচার সাথে আমার মেডিকেলে পরিচয় হয়েছিল। তিনি ও নাকি আমাকে খুবই পছন্দ করতেন, সেটাও শুনেছিল কয়েকবার। হল ছেড়ে কোচিংয়ের জন্য বাসা নিল। ঐ বাসার উপরের ফ্লোরে একবার আগুন লাগে। তখন আমাকে কল দেয়। আমি খেয়াল করিনি। মিনিট ৩/৪ পর কল ব্যাক করলে বলে, “মানুষ মারা যাওয়ার আগে কারো সাথে কথা বলতে চাইলে তো সে সুযোগ পাবে না। ”

ওর যখন চাকরি হলো, তখন বলেছিল, চাকরি হয়েছে। এবার সম্ভাবনাময় একজন বেকার দেখে বিয়ে করে ফেলব। ওর চেনাজানা মানুষের ভেতর তখনও পর্যন্ত আমিই একজন, যে তখনও চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ও প্রায়ই বলত, তার আজকের দিন পর্যন্ত যে পরিবর্তন (ধর্মীয়, ব্যক্তিত্ব, চাকরি) সেগুলোর প্রায় পুরো অবদানই আমার। গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি যেমন জনজীবনের প্রাণের স্বস্তি দেয়, আমার সাথে কথা হলে নাকি তারও একই অনুভূতি হতো।

ও যখন গ্রাম থেকে আসত, গাবতলী উত্তরবঙ্গের বাস কাউন্টার থেকে ওর বাসা পর্যন্ত আমি রিকশা করে রেখে আসতাম। যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তাকে একবার ছুঁয়ে দেখার অদম্য ইচ্ছা সংবরণ করে গেছি প্রতিনিয়ত।

আমার সাথে শেষ যেদিন ওর কথা হলো, এর মাসখানেক আগে ওর একটা ট্রেনিং ছিল। ওখানেই ছেলেটার সাথে পরিচয়।

ঠান্ডা মাথায়, সুচিন্তিতভাবে এই সিদ্ধান্ত সে নিয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অন্যায়গুলো মানুষ ঠান্ডা মাথায়, চিন্তা করেই করে। না বুঝে মানুষ কখনো অন্যায় করে না, করে ভুল।

আমার আরও বেশি খারাপ লেগেছিল, একজন মানুষকে আমি চার বছরের বেশি সময় ধরে চিনি। তার ভালো লাগা খারাপ লাগা সব জানছি। জানছি তার সুস্থতা, অসুস্থতা। অসুস্থ হলে রাতে নিয়মিত বিরতিতে কথা হচ্ছে। সারাদিনে বেশ কয়েকবার কথা হয়। তার অফিস যাওয়া, অফিসে সমস্যা, মন খারাপ সব কিছুই জানাচ্ছে আমাকে। এমনও হয়েছে, ভাবীর কথায় কষ্ট পেয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছে, আপনার চাকরি পেতে আর কত দিন, এই বাড়িতে আর থাকা যাচ্ছে না।

সে বাড়ির বড় বউ হতে চেয়েছিল। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি বাড়ির বড়। যার সাথে সে বিয়ে করেছে, সে বাড়ির ছোট ছেলে। সে শিক্ষকতা করে এমন ছেলে পছন্দ করে না, বিয়ে করেছে, শিক্ষকতা করে এমন একজন ছেলেকে।

মেয়েরা ছেলেদের চোখ দেখেই বলতে পারে তাদের চাহনি ভালো নাকি খারাপ বা কী চায়। আর ৪ বছর ধরে একটা মানুষ কী চায় সেটাই বুঝল না! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য! তার ওপর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্ট নিয়ে বের হয়েছে।

রাত-বিরাতে ফোন কল দিয়ে বলবে, ওষুধ বা অন্য কিছু দরকার। ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তুই ব্যাপারটা খুব গুরুত্ব দিবি। হয়তো বলবি, সমস্যা নাই।  যেভাবেই হোক তুই পৌঁছাবি।

মেয়েদের ব্যাপারটা এমনই। তারা চায় তাদের চারপাশে আলফা মেইলরা ঘুরঘুর করুক এবং দিনশেষে ঠিকই তোর চেয়ে ভালো কাউকে বিয়ে করবে। তোকে হয়তো কাঁদো কাঁদো গলায় বলবে, আমার কিছুই করার ছিল না, বাবার জোরাজুরিতে বিয়ে করতে হলো। আমি তোমাকেই চেয়েছিলাম। এর সবগুলোই অভিনয়।

ওর বিয়ের ২১ দিন পর আমি চাকরিতে যোগদান করি। জীবন নাটকের চেয়ে নাটকীয়।

রাহাত ভাই এখন সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। দ্বিঘাত সমীকরণের জাল থেকে বেরিয়ে এখন তার জীবন সরল সমীকরণে প্রবাহমান।

অনুরিমা, খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমার অপরাধ কী ছিল! খুব জানতে ইচ্ছে করে, এত ভালো অভিনয় মানুষ কীভাবে পারে!

রাহাত ভাইয়ের শেষের কথাগুলো এখনো খুব কানে বাজে।

পুনশ্চ: প্রিয় অনিকেত, তোমার কথাগুলো শব্দে আটকানোর সামান্য চেষ্টা করেছি মাত্র। যে কষ্টের ভেতর দিয়ে তুমি গেছ বা যাচ্ছ সেটা কমানোর বিন্দুমাত্র সাধ্য আমার নেই। ধৈর্য ধরো। সবারই হয়তো সময় আসে। সময়ের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে পারলে সময় ঠিকই সঠিক সময় এবং সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। তোমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে মানুষ এই কষ্ট লালন করে আসছে। কষ্টের ধরন একই হলেও অনুভূতির ভিন্নতা রয়ে যায়। তোমার জায়গা থেকে তুমি যদি নিজের সাথে, অন্যর সাথে সৎ থেকে থাকো, তোমার জীবদ্দশায় তুমি তার ফলাফল দেখে যাবে। দোয়া রাখি, সময় তোমার সব কষ্ট মিলিয়ে দিক। জীবন সুন্দর। নিজেকে নিয়ে বাঁচো। নিজের জন্য বাঁচো।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।