ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ন্যানো ভালোবাসা | মাহফুজ পারভেজ

গল্প / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৫
ন্যানো ভালোবাসা | মাহফুজ পারভেজ

এক দশক ঘর-সংসার করার পর যেদিন নিঃসন্তান কবিতা ও কামাল চিরবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত পাকা করল, সেদিনও কোথাও না কোথাও শত শত নর-নারী দাম্পত্য জীবন শুরু করেছে। জীবন ও মৃত্যু, দাম্পত্য ও বিচ্ছেদ, প্রেম ও ঘৃণা আসলেই তো মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

অসর্তকভাবে একটু নাড়াচাড়া করলেই মুদ্রা উল্টে কখন কোন পিঠটি দেখিয়ে দেবে ঠিক নেই। তা না হলে কবিতা ও কামালের এত কমিটেড প্রেম-গৃহস্থালি আচানক ভেঙে খান খান!

সমস্যার শুরু খুবই তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে আর সমাপ্তি ভয়াবহ ও কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে। অবশ্য তুচ্ছ বলে প্রকৃতই কিছু আছে কি-না কে জানে! ইগো আর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য কারও কাছে বিরাট বিষয়ও তুচ্ছ; আবার দাম্পত্য জীবনে কারও কাছে তুচ্ছও গুরুত্বপূর্ণ। এদেশে অবশ্য তুচ্ছের সংজ্ঞা খুবই আপেক্ষিক। তুচ্ছ কারণে সংসারে ছাড়াছাড়ি ও তালাকের মত সমাজে মারপিট, খুন-খারাবিও ঘটছে অহরহ। ডিম ভাজায় বেশি লবণ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক নিজের স্ত্রীকে পিটিয়ে তালাক দিয়েছে এবং পরিণামে শ্রীঘরে বসবাস করে বীরদর্পে আবার স্বস্থানে ফিরেও এসেছে! তার দিকে তাকিয়ে ব্যাকরণবিদদের উচিত তুচ্ছের নব সংজ্ঞায়ন করা।

কিন্তু কবিতা ও কামালের কী করা উচিত? কবিতা একটি অতি তুচ্ছ অপরাধ করেছিল; কামাল ততোধিক তুচ্ছ আরেকটি অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ছিল। ফরিয়াদি এবং বিচারক যখন একই ব্যক্তি হয়, তখন চিমটি কাটার জন্যেও ফাঁসি দিয়ে দেওয়া যায়। কেউই কিছু বলতে পারে না। কবিতা ও কামালের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন পুরো ব্যাপারটি দেখে-শুনে একটিই শব্দ অস্ফুটে বলেছে—‘বালখিল্য’।

স্বজ্ঞানে বা অজ্ঞানে, যুক্তিতে বা আবেগে—যেভাবেই হোক—ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে আর ফেরানো যায় না। কবিতা ও কামাল একটি সত্তা থেকে দুটি সত্তায়, একটি বাসা থেকে দুটি বাসায়, একটি ঠিকানা থেকে দুটি ঠিকানায়, একটি ভবিষ্যত থেকে দুটি ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা করতে বাধ্য হলো। এক বলতে আর কিছুই রইল না; যোগাযোগ বলতেও কিছুই না। কেবল পোষা ময়না পাখিটি সকালে কবিতার নতুন ফ্ল্যাটে আর সন্ধ্যায় কামালের বারান্দায় আসা-যাওয়া করতে লাগল। পাখিটির উড়ালের অদৃশ্য পথের রেখায় একটি অদেখা মাকড়শা জালের মত পাতলা সুতা অলক্ষ্যে দুজনের মধ্যে ঝুলে থাকে—আর কিছু নয়—আর সব কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন-পরিত্যক্ত।

আচানক একদিন পাখিটিকেও দেখা গেল না। প্রথমে মালুম হয়নি কারওই—পরপর দুই দিন বিরাম দেওয়ায় পাখিটির অনুপস্থিতি নজরে পড়ল। কামাল যা ভাবল—কবিতাও সেটাই ভাবল; নগর-দানবের থাবার নিচে মানুষের জীবন ও বসবাসই নিত্য কম্পমান—আর সামান্য পাখি! কেউ ধরে নিয়ে গেছে কিংবা কোথাও কোন বিদ্যুতের তারে ঝুলে অথবা যানের ধাক্কায় মারা পড়েছে—তথ্য প্রযুক্তির যুগে কে আর এত খবর রাখে।

খবর না রাখলেও স্বাভাবিকতায় ছেদ পড়লে মনের মধ্যে একটি শূন্যতাবোধের সৃষ্টি হয়—চেতনাপ্রবাহে ছন্দপতন ঘটে—মনের মধ্যে মৃদু বেদনার বাতাস বয়। নগন্য একটি পোষা কুকুর কিংবা একটি পোষা বেড়ালকেও অভ্যাসের চোখে দেখতে দেখতে মায়ার কাজলে আঁকা হয়ে যায়। না দেখলে মন উচাটন করে। নিখোঁজ পাখিটিও বিচ্ছিন্ন দম্পতিটির মধ্যে একটি মায়াবৃত্ত তৈরি করেছে।

কবিতা এখন টের পায় পাখিটিকে দেখলে কামালের কথা মনে হয়; কামাল অবশেষে বুঝতে পারে পাখিটির মধ্যে কবিতাই যেন অঘোষিতভাবে লুকিয়ে আছে। দুজনেই একটি সামান্য পাখির জন্য বুকের মধ্যে অসামান্য হাহাকার অনুভব করতে থাকে। নিজেকে সান্ত্বনা দিতে, বলা যায় আশ্বস্ত করতে, কামাল ভাবে, পাখিটি হয়ত কবিতার কাছেই রয়ে গেছে। কবিতা ভাবে, কামালের ওখানেই পাখিটি আছে হয়ত।

তৃতীয় দিনও পাখিটি না আসায় দুজনেরই উদ্বেগ বাড়ে। ওড়াউড়ির পাখি তো বসে থাকার পাত্র নয়! আসছে না কেন? কামাল ভাবে, কবিতা কি পাখিটি আটকে রেখেছে? কবিতা ভাবে, কামাল কি পাখিটি ধরে রেখেছে? দুজনে অভিন্নভাবে এটাও ভাবে—তৃতীয় কোনও পক্ষ কি পাখিটিকে ছিনিয়ে নিয়েছে বা সংহার করেছে? পাখিটির জন্য দুজনেরই মায়া বাড়ে—বেদনা পুঞ্জিভূত হয়। এক সময় দেখা গেল দুজনেই পরস্পরের কথা বাদ দিয়ে পাখিটির কথাই ভাবছে।

দুই |
হিউম্যান সিস্টেমের সম্ভবত একটি স্বয়ংক্রিয় ক্ষমতা আছে—যাকে গভীরভাবে ভাবা হয়—বারবার ভাবা হয়—তার দেখা কোনও-না কোনওভাবে পাওয়াও যায়। পাখিটিরও খবর পাওয়া গেল—একটি ভোরবেলায়—একটি অসম্ভব এমন ভোরবেলায়, যাকে দেখে বলা যায়:
“কখনও জাগিনি আগে ভোরবেলা ঘাসের মতন
শিশিরে, চপেটাঘাতে কিংবা ঝাউবন চূর্ণকরা
হাওয়ায় জাগিনি আগে ভোরবেলা কখনও এমন
জাগিনি, আমার চিত্ত চিরকাল ছিল জয় করা
বিকেলবেলার। আমি মাঝরাতে ঘুরেছি বাগানে
জন্ম কি এমনই ভালো? সন্ধ্যা হতে দেয় না সেখানে
অহংকার আলো করে রেখে দেয় মলিন জামায়।
কখনও জাগিনি আগে ভোরবেলা...”
এমনই একটি অনিন্দ্য ভোরবেলায় পাখিটির খবর পেল দুজনেই। একই সঙ্গে—একই সময়—একই অভিন্ন ভোরবেলায়—যেমন ভোরবেলা ওরা আগে আর কখনও দেখেনি—আর কখনও জাগেনি এ রকম একটি ভোরবেলায়।

খবরটি পাওয়া গেল পত্রিকার পাতায়। ‘একটি ভালোবাসার পাখির মৃত্যু’ শিরোনামে। পোকা-মাকড়ের মত যে দেশে মানুষজন আকছার মারা যাচ্ছে—সেখানে একটি অপাংক্তেয় পাখির মৃত্যু সংবাদ? তা-ও আবার প্রথম পৃষ্ঠায় বক্স এঁকে বিশেষভাবে ছাপানো? এক ধরনের গুপ্ত ঔৎসুক্য নিয়ে কবিতা ও কামাল খবরটিতে চোখ বোলায়—একই সময়ে—পৃথক দুটি স্থান থেকে—পৃথক অবস্থানে।

‘... ময়না পাখিটি একটি বিদ্যুতের খুঁটির তারে কয়েক দিন মৃত ঝুলে থেকে গত সন্ধ্যায় মাটিতে পড়েছে। ...’

এটা মূল খবর নয়। আসল খবরটিই আশ্চর্যজনক। পরীক্ষা করে দেখা গেল, নিথর পাখিটির ঠোটে রয়েছে দু টুকরো কাগজে লেখা দুটি চিরকুট। চিরকুটের একটিতে লেখা মাত্র একটি লাইন...

‘আমি পথ ধরে হাঁটি...তুমি আসো তার পিছু পিছু...পরিষ্কার জোছনার মত তোমার মায়াবী পরশ শরীরে নাচে। ’
আরেকটি চিঠিও অতি সংক্ষিপ্ত ...
‘আমারে ভোলালে তুমি একটি মাত্র ফানুশ উড়ায়ে—ভালোবাসায় রঙিন। ’
সাংবাদিক মৃত পাখিটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে খবরটির শিরোনাম নাম দিয়েছেন ‘ভালোবাসার পাখি। ’

তিন |
খবরটা অনেকেই পড়েছে। বেশ আলোড়ন তুলেছে ভালোবাসার পাখিটি একটি প্রেমময় আত্মদানের মাধ্যমে। মানুষ যে তলে তলে এত দুঃখিত হতে পারে—পাখির মৃত্যুতে জানা গেল। যে মানুষ নির্মম হত্যাকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করে অবলীলায় লাশটিকে ডিঙিয়ে নিজের পথে চলে যায়, সে রকম বহু মানুষ হা-হুতাশ করল। কয়েক দিন শহরে জোরালো আলোচনা হলো পাখিটিকে নিয়ে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা তাদের আন্দোলনের নতুন ডাইমেনশন পেল। ছোট আকারে হলেও কয়েকটি গোলটেবিল আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হলো। একাধিক টিভি চ্যানেল একজন মনস্তত্ত্ববিদ, পক্ষী বিশারদ ও কবিকে নিয়ে লাইভ টক শো-র আয়োজন করল। বহু মানুষ টেলিফোনে সেই আলোচনায় অংশ নিল, প্রশ্ন করল, নিজস্ব মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানাল। দুজন দর্শক তো ফোনে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে একসার। এদের মধ্যে একজন ক্রন্দসীকে থামাতে তরুণের মেকাপ করা আইবুড়ো উপস্থাপককে বিশেষ কসরৎ করতে হলো। প্রেম ও ভালোবাসার জয়গান গেয়ে কিছু পত্রিকা আবেগের থরোথরো-কম্পমান-অক্ষরে-ভেজা সম্পাদকীয় কলাম প্রকাশ করল। জানতে চাইল ‘পাখিটি কোথায় যাচ্ছিল?’ ‘কে বা কারা এই প্রেমপত্র-নামীয় চিরকুটের রচয়িতা। ’ একটি রহস্যময় ঘেরাটোপে পুরো মৃত্যু ঘটনাটিই সত্য ও মিথের চাদরে আচ্ছন্ন হয়ে জনস্মৃতিতে দোলা দিতে লাগল। কয়েকটি নতুন প্রেমিক-জুটি ‘পাখি আমার একলা পাখি’ গানটি নিয়ম করে একা ও কোরাসে গাইতে থাকল। কয়েকটি মার্কেটের গানের দোকান থেকে পাখিটির বদলে ‘পাখি আমার একলা পাখি’ গানটির উচ্চধ্বনি উড়ালে উড়ালে নগরের তন্ত্রীতে ভেসে বেড়াতে লাগল। তারপর একদিন যেমন হয়, তেমনি আর দশটা ব্যস্ততায় আর কাজের চাপে প্রসঙ্গটি চাপা পড়ে যায়। সবাই ভালোবাসার পাখির মৃত্যুর কথা ভুলেই গেল।

চার |
শুধু কবিতার পক্ষে খবরটি ভুলে যাওয়া সম্ভব হলো না—কামালের পক্ষেও নয়।
কবিতা ভাবে—কামাল কি খবরটি দেখেছে?
কামাল ভাবে—কবিতা কি খবরটি দেখেছে?

পাঁচ |
কবিতা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কামালকে লেখা প্রথম চিঠিটি আর পেল না।
কামালও কবিতাকে লেখা তার প্রথম চিঠি আর খুঁজে পেল না।
এতদিন আগের চিঠির ভাষাটিও স্পষ্ট মনে নেই কারওই। ভালোবাসার পাখির সঙ্গে পাওয়া চিঠির উদ্ধৃত লাইনগুলো পড়ে কবিতা শিহরিত হয়ে উঠল। কামাল বিদ্যুৎতাড়িতের মত নড়ে উঠল। কবিতা স্পন্দিত হয়ে গেল।
কবিতা জেনে গেছে—তার চিঠি আর কোনওদিনই পাওয়া যাবে না।
কামালও জেনেছে—কবিতাকে লেখা এবং কবিতার কাছ থেকে পাওয়া চিঠি চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেল।
তীব্র আবেগে-উত্তেজনায় ঘর ভেঙে চলে আসার সময় তুচ্ছ চিঠির কথা কারও মনেই ছিল না। পাখিটি হয়ত তাদের সেই ভুল শোধরাতে চেয়েছিল।

ছয় |
এত দিন পাখিটি এলো-গেল অথচ কিছুই বুঝতে পারল না কবিতা-কামাল? অনেক কিছুই তো সাধারণ চোখে মানুষ বোঝে না—দেখে না। একটি আলপিন প্রতিদিনই দেখতে হয়। কিন্তু সেই আলপিনের মাথা হলো এক মিলিমিটার বা দশ লক্ষ ন্যানোমিটার। মানুষের শরীরের বিভিন্ন রকমের কোষও মাইক্রোর মাপের মধ্যে পড়ে—কেউ দেখে না, তবুও তো দিব্যি কাজ করে যাচ্ছে। লোহিত রক্ত কণিকার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার বা মাইক্রো; মানুষের চুলের ব্যাস ৫০-৬০ মাইক্রো। খালি চোখে মোটামুটি দশ মাইক্রো পর্যন্ত দেখা যায়। তারচেয়েও ছোট ন্যানোর জগৎ—এত ক্ষুদ্র যে মানুষের দৃষ্টি ক্ষমতার অনেক অনেক নিচে এই ন্যানো-মাপের বস্তুদের বসবাস। এক ন্যানোমিটারের নিচে নামলে অণু-পরমাণুদের জগতের কাছাকাছি পৌঁছা সম্ভব। যেমন, সর্বক্ষুদ্র হাইড্রোজেন পরমাণুর দশটিকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দিলে এক ন্যানোমিটার হয়ে যাবে।

পাখিটি তো ন্যানো ছিল না। দশ বছরের ভালোবাসাবাসি-দাম্পত্যও একেবারে ছোট নয়। তারপরও কবিতা বা কামাল কিছুই দেখতে পেল না। কিছুই দেখা গেল না—ভালোবাসার পাখিটির মৃত্যু ছাড়া?

তাহলে মৃত্যুই সবচেয়ে দৃশ্যমান বাস্তবতা—অন্য সব কিছুই চলমান আপেক্ষিকতা?

সাত |
কবিতা বা কামাল এখন কোথায়?
কী করছে তারা?

“অঘ্রাণের দুটি তারা তেমন স্বতন্ত্র নয় তারাদের মত
নয়ত দূর, হয়ত দূর, ব্যবধান ভরা, শূন্য আকাশে, দুদিকে...
পৃথিবীর বিভিন্ন মধ্যবিত্ত ঘরে শুয়ে তারকা দুজন...
কথা বলে নিজে নিজে মনে মনে
অঘ্রাণে হেমন্তে খেলা করে একাকী-একান্তে
বাকি খেলা তুলে দিতে থাকে দিগন্তের নীলে...
লক্ষ লক্ষ বছরের দূরত্ব মেনে নিয়ে
নিজেকে নির্জন জেনে নিয়ে
তারা তারাদের সাথে
তারা মানুষের সাথে
মিটিমিটি জ্বলে আর নেভে
নিজেকে পোড়ানোর আগুনে...”

আট |
কবিতা ও কামাল আলাদা আলাদাভাবে হয়ত রাতের আকাশে অভিন্ন কোনও তারার দিকে, নয়ত রাত-পাখির ডানার প্রক্ষেপে তাকিয়ে, ছেড়ে আসা, ফেলে আসা জীবনের কোনও ছাপ, প্রতিচ্ছবি দেখা যায় কিনা, তা খুঁজছে। পৃথিবীর অন্য কোনও মানুষই এই সংবাদটুকু জানে না। ওরা নিজেরাও জানে না যে, সীমাহীন বিচ্ছিন্নতা আর দূরত্বের পরেও একটি নির্দিষ্ট তারকাকে ঘিরে কত কাছাকাছি রয়েছে দুজনে; একটি পাখির করুণ উড়ালের স্মৃতিতে ভর করে রাতের অন্ধকার আকাশের নিঃসীম শূন্যতার মধ্যেই ভেসে ভেসে আছে তারা: পৃথিবীর সামাজিক দূরত্ব সত্ত্বেও মহাজাগতিক নৈকট্যের ডিভাইন ডিজাইনের ন্যানোস্তরে।



বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।