ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ঘাসফুলের ঘ্রাণে মাতাল পিঁপড়ার দল

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
ঘাসফুলের ঘ্রাণে মাতাল পিঁপড়ার দল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঘাসফুলের ঘ্রাণে মাতাল একদল পিঁপড়া। তারা একটি মৃতগাছের শাখা বেয়ে ছুটছে ঘাসফুলের পানে কিন্তু মধ্যিখানে খানিকটা জায়গা ফাঁকা।

তাই বলে থেমে যায়নি পিঁপড়ের দল, একটি আরেকটির হাত ধরাধরি করে পৌঁছেছে ফুলের কাছে।
 
'ক্যাচ দ্য বিউটি' নামে অপূর্ব সুন্দর এই দৃশ্যটি ফ্রেমবন্দি করেছেন আলোকচিত্রী জাকিরুল মাজেদ কনক। জাকিরুল মাজেদের এ ছবিটি জিতেছে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির (বিপিএস) বার্ষিক প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার। তবে কেবল মাজেদের এ ছবিটিই নয়, দর্শকদের নজর কেড়েছে প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া অন্য আলোকচিত্রও।
 
শিল্পকলা একাডেমি ও বিপিএস'র যৌথ আয়োজনে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী। শুক্রবার (২৫ মার্চ) শেষ হতে যাওয়া এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে তেইশজন আলোকচিত্রীর চুয়ান্নটি আলোকচিত্র।
 
প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া এসব ছবিতে উঠে এসেছে প্রকৃতি, মানবিক সম্পর্ক, উৎসব, প্রার্থনা, নাগরিক চিত্রসহ নানা দিক। খণ্ড খণ্ড চিত্রে যেনো উপস্থাপিত হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশের ছবি। বিষয়বৈচিত্র্য, বিন্যাস, আলোছায়া, অভিব্যক্তি- সব বিচারেই উত্তীর্ণ ছিলো ছবিগুলো।

আবু হাসানুল কবির হিমেলের আলোকচিত্র ‘ওয়েটিং ফর রেইন’ নগরে বৃষ্টিপাতের আগে দিগন্তে বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য ও এর সামনে অন্ধকারাচ্ছন্ন ইট-বালুর ভবনগুলো যেনো আক্ষরিক অর্থেই বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে।
 
জামিলা জামানের ‘ফ্লোটিং ফ্লাওয়ার’ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পানিতে ভাসমান ফুলের সঙ্গে একডালা ফুল হাতে জল ছুড়ছে আদিবাসী এক শিশু যা বাংলার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ আলোকচিত্র দুটিও জিতেছে বিপিএস ফটোগ্রাফি পুরস্কার।
 
এছাড়াও পুরস্কৃত হয়েছে মনোয়ার কামালের ‘ড্যান্স’ ও ‘লাভ’, মিলটন বেনেটের ‘বন্ডিং’, জাকিরুলের ‘কালার অব লাইফ’, মাহমুদুল হাসানের শিরোনামহীন একটি আলোকচিত্র, মাহবুব আলম তনয়ের ‘হার আইজ’ এবং কে. ইউ. মাসুদের ‘ফোকাসেস অন প্রেয়ার’।
 
তবে এ প্রদর্শনীতে জাকিরুল কনকের আলোকচিত্র প্রাধান্য পেয়েছে। ‘ফেন্স অব ফায়ার’ ও ‘বেড অব রোজ’ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি দু‘টিসহ তরুণ এ আলোকচিত্রীর সাতটি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।

জাকিরুল কনক বাংলানিউজকে বলেন, পুরস্কৃত হলে সবারই ভালো লাগে, আমারও লাগছে। তবে ফটোগ্রাফি আমার পেশা নয় এটা আমার নেশা। দর্শনার্থীরা আমার ছবিগুলো আগ্রহ নিয়ে দেখছেন, কেউ কেউ তাদের ভালোলাগা প্রকাশ করছেন- এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
 
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বহু ধারার ধর্ম-সংস্কৃতি ও ভালোবাসায় সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশই যেনো উঠে এসেছে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায়।

পাঁচ বিচারকের একজন বিপিএস মহাসচিব এম ইউসুফ তুষার বাংলানিউজকে বলেন, যেসব ছবি জমা পড়েছিলো তার মধ্যে একটু ভিন্নতা খুঁজছিলাম আর তাতে বৈচিত্র্যময় এসব দৃশ্য উঠে এসেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
এইচআর/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।