রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় চারুশিল্পী সংসদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংসদের সভাপতি জামাল আহমেদ, সহ-সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশাসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুবিশাল এ কর্মযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন প্রায় দেড় শতাধিক চিত্রশিল্পী। প্রতিকৃতির ছবি নির্বাচন, লে আউট তৈরি, ক্যানভাস প্রস্তুতসহ কারিগরি কাজ শুরু হয়েছে গত ১ আগস্ট থেকে। বর্তমানে টিএসসির মিলনায়তন ও সুইমিংপুল চত্বরে চলছে ক্যানভাসে লাইন ড্রয়িং এর কাজ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এবার জাতির জনকের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এই উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্যানভাসের ওপর এক্রেলিক কালারে আঁকা হবে মূল ছবি। কোনো তুলি বা অন্য কোনো মাধ্যমে নয়, ফ্রেমের শরীরে রঙ লাগবে হাতের আঁচড়ে। এরপর অনেকগুলো টুকরো ফ্রেমের ক্যানভাসে স্বতন্ত্রভাবে একেকটি অংশ আঁকবেন শিল্পীরা। পরে টুকরোগুলোকে একত্রে জুড়ে দিয়ে তৈরি হবে মূল পূর্ণাঙ্গ প্রতিকৃতি।
টিএসসির চৌরাস্তা পাঠাগারের দিকে রাস্তার পাশে ১৪ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে এটি স্থাপনের কাজ, যা সম্পন্ন করা হবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। এরপর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে শুক্রবার ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে চিত্রকর্মটি।
চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের শিল্পীরা নিজেদের মেধা, মনন, শ্রম ও সৃজনশীলতা দিয়ে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সৃষ্টি করে আসছে মহৎ সব শিল্পকর্ম। দেশের জন্য বয়ে আনছে মর্যাদা ও সম্মান। এ আয়োজন সে ধারাবাহিকতারই অংশ।
চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা বলেন, দেশে এটিই হবে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় হাতে আঁকা চিত্রকর্ম। এছাড়া এটি বিশ্বের বড় চিত্রকর্মগুলোর মধ্যেও প্রথম সারির একটি বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/