ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

প্রামাণ্যচিত্রের ওপর আন্তর্জাতিক কর্মশালা উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
প্রামাণ্যচিত্রের ওপর আন্তর্জাতিক কর্মশালা উদ্বোধন প্রামাণ্যচিত্রের ওপর আন্তর্জাতিক কর্মশালা উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরার জন্য নির্মাতাদের যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণে কলা-কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ঢাকায় উদ্বোধন করা হলো ছয় দিনের আন্তর্জাতিক কর্মশালা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ঢাকা ডকল্যাব আয়োজিত ‘প্রামাণ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজনার কলাকৌশল ও যৌথ প্রযোজনার বাজার’ সংক্রান্ত কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।  

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।


 
ছয়দিনের এ কর্মশালায় পাঁচটি দেশের ১৭ জন অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও পাকিস্তানের একজন ভিসা জটিলতার কারণে যোগ দিতে পারেননি। তাই ভারত, বাংলাদেশে, ভুটান ও নেপালের ১৬ জন অংশগ্রহণকারী তাদের প্রজেক্ট উপস্থাপন করবেন। কর্মশালায় বিভিন্ন দেশের নামকরা ডকুফিল্ম মেকাররা প্রশিক্ষণ দেবেন।
 
এছাড়াও তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নেবেন নামকরা বিদেশি প্রযোজক, টেলিভিশন সম্প্রচারক, কমিশনিং এডিটর, পরিবেশক ও বাজার বিশেষজ্ঞরা।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সমবেতদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক জীবনে ১৩ বছর কারাবন্দি ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি দেশ পরিচালনা করতে পেরেছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তার জীবন নিয়ে আপনারা ডকুমেন্টারি করতে পারেন। পলিটিক্যাল ডকুমেন্টারি হিসেবে বৈশ্বিকভাবেই এটার খুব ভালো স্টোরি লাইন আছে।
 
এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ক্ষমতায়ন নিয়েও ডকুমেন্টারি তৈরির ক্ষেত্র রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, ডকুফিল্ম খুব শক্তিশালী মিডিয়া। কিন্তু এর বাজার সেভাবে তৈরি হয়নি। তাই তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাসহ সবাইকে এ খাতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
 
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্ক সেভাবে কাজ করছে না। কিন্তু ডকুমেন্টারি ফিল্ম কমিউনিটি একসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করে পারে।
 
সভাপতির বক্তব্যে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে শত্রু দেশ কিংবা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব। সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা ভালো বোঝাপড়া তৈরি করতে পারি।
 
এসময় অন্যদের মধ্যে কর্মশালার সহযোগী আয়োজক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা ডকল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ, ডকুমেন্টারি রিসোর্স ইনেশিয়েটিভ-কলকাতার সভাপতি নীলোৎপল মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।