শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) হৃদয়ে দাগ লেগে থাকা সেই মানুষগুলো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো বাংলাদেশের প্রতিটি ধূলিকণাকে নিজের বলে দাবি করা মানুষ মমতাজউদদীন আহমদকে। বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এই স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মমতাজউদদীন প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘দিয়াড়’।
দিয়াড়ের সভাপতি কবি আপেল আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কনভেনর ও কো-কনভেনর হিসেবে কথা বলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহম্মদ কামাল উদ্দীন, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কবি আমিনুল ইসলাম এবং দিয়াড়ের সাধারণ সম্পাদক মখলেসুর রহমান মুকুল।
বক্তারা এসময় অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের যাবতীয় কাজকর্মগুলো একত্রিত করে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশ এবং তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করার জন্য আহবান জানান। একইসঙ্গে মমতাজউদদীন স্মরণে প্রকাশ করা হয় ‘শ্রদ্ধায় স্মরণে মমতাজউদদীন’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থ। প্রদর্শন করা হয় ‘নয়নের সম্মুখে তুমি নাই’ শিরোনামের তথ্যচিত্র।
এরপর মমতাজউদদীনকে নিয়ে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ টেক্সটবুক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাবন্ধিক মুহম্মদ এলতাসউদ্দীন, ডাইসিন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নাট্যকার অশোক রায় নন্দী, আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের সাবেক পরিচালক এসএম মহসীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী, অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী মানুষটি মননে ছিলেন রুচিশীল। শিক্ষাবিদ এ ব্যক্তিত্ব চিন্তার প্রধান বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নাট্যকলাকে। নাটকের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে মূল্যায়ন করেছেন। যা খুবই অপ্রতুল। মুক্তিসংগ্রামের দিনগুলোতে তার নাটক উজ্জীবনীশক্তির ভূমিকা নিয়েছে। তিনি কঠিনকে ভালোবেসে সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন। তার কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালির মননে, ভাবনায়, মুক্তিযুদ্ধে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।
আয়োজনে মমতাজউদদীনকে স্মরণ করে কবিতা, আবৃত্তি, পাঠ এবং গান পরিবেশন করেন কবি আমিনুল ইসলাম, ভাস্কর চৌধুরী, জামিল রায়হান, মো. ময়েজউদ্দীন, মো. আসাদুজ্জামান, সুমন মাহমুদ হাফিজ প্রমুখ।
আয়োজনে অধ্যাপক মমতাজউদদীনের স্ত্রী কামরুন্নেসা বেগম (কুমু) উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ