ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের যাত্রা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের যাত্রা শুরু

ঢাকা: প্রথিতযশা সংস্কৃতিকর্মী তৃণা মজুমদারের হাত ধরে নওগাঁয় যাত্রা শুরু করলো নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূল। ‘সোপার্জিত কৃষ্টির নীত’ শ্লোগানকে ধারণ করে হাজার বছরের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে ত্রিশূল তার নবযাত্রা করলো। বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সমুন্নত করে তা নতুন প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে লালনের মানসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুনভাবে এর আত্মপ্রকাশ।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স- এশিয়া প্যাসিফিক’ এর উদ্যোগে ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল-এর প্রথম দিন ২২ নভেম্বর অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গর্জন করে জানান দিয়েছে তার আগমনী বার্তা।  

সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নওগাঁর রয়েছে এক বিশেষ তাৎপর্যময় বৈশিষ্ট্য।

বাংলাদেশের আবহমান সাহিত্য ও সংস্কৃতির একই প্রবাহের ক্ষুদ্র অংশ হয়েও এর স্বাতন্ত্র্য রয়েছে সৃষ্টির অবয়বে। জেলার মধুইল, পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, ধামইরহাট অঞ্চলের উঁচুনিচু দীঘল ফসলের মাঠ বেয়ে দিনান্তে শ্রম-কিণাংক শরীরে অস্তায়মান সূর্যের রাঙা আবির মেখে আজো সাঁওতাল তরুণ তরুণীরা মোষের পিঠে, পায়ে হেঁটে, বাঁশি মুখে, খোঁপায় বুনোফুল গুঁজে ঘরে ফেরে। যাত্রা, লোকগান, গ্রাম্য কবিতা, পল্লি এলাকার বিয়ের গীত নওগাঁ জেলায় প্রচলিত আছে বহু শতাব্দী ধরে। এসব আঞ্চলিক গীতে নওগাঁর আবহমান কালের লোক-সংস্কৃতির পরিচয় ফুটে উঠে স্পষ্টভাবে। কালের পরিক্রমায় এ শিল্প সংস্কৃতি যেন বিস্তৃতির অতল গহ্বরে বিলীনের দোরগোড়ায়। বাঁচানোর জন্য দরকার এ ধরনের সাংস্কৃতিক সংগঠনের।

বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত শিল্প সংস্কৃতি হুমকির মুখে। প্রয়োজন সঠিক মূল্যবোধের সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যে আন্দোলন বাংলার গরিব মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য সহায়ক হবে। সংস্কৃতি যে সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ত্রিশূলের সাংস্কৃতিক চর্চার ভেতর দিয়ে প্রয়োজনীয় সামাজিক পরিবর্তন হবে নিশ্চয়ই। এ সাংস্কৃতিক সংগঠন ভবিষ্যতে জাতির যেকোনো দুর্যোগের মোকাবিলা করবে সাংস্কৃতিক কর্মের ভেতর দিয়ে। গড়ে তুলবে মানবিক অসাম্প্রদায়িক সমাজ।  

ত্রিশূলের তিনটি ফলা যেমন জীবনের বিভিন্ন ত্রিত্বগুণকে উপস্থাপন করে, তেমনি একটি গুণ অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে নওগাঁসহ সারাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন আলোড়িত হবে, বিকশিত হবে, বেঁচে থাকবে আজীবন স্বকীয়তায়!

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।