শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ফরিদপুরে কবি জমীস উদদীন হলে আয়োজিত সাহিত্য সম্মেলন ও আলাওল সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
পাঁচ গুণী ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার রাতে শেষ হয় দু’দিনের এ সাহিত্য সম্মেলন।
ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন কবি আলতাফ হোসেন, রফিকুর রশীদ, হরিশঙ্কর জলদাস।
কবি রফিকুর রশীদ বলেন, অন্য যে কোনো অনুষ্ঠান হয় আড়ম্বরপূর্ণ, কিন্তু এ সাহিত্য অনুষ্ঠান আন্তরিকতায় ভরা। তিনি আরও বলেন, যে কোনো পুরস্কারই মূল্যবান, তবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিকে যখন পুরস্কৃত করা হয় তখন তা হয় অতি মূল্যবান।
কবি আলতাফ হোসেন বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের দেশে খুব একটা হয় না। এ সম্মেলন লেখকদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।
সাহিত্য সম্মেলনে ‘বলি যে তারানা হচ্ছে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি আলতাফ হোসেন, ‘মেঘ পাহাড়’ উপন্যাসের জন্য ওয়াসি আহমেদ, ‘মুক্তিযুদ্ধে রাইফেলস ও অন্যান্য বাহিনী’ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থের জন্য সুকুমার বিশ্বাস, ‘ঘরে ফেরা সোজা নয়’ কাব্যগ্রন্থের জন্য আসাদ চৌধুরী, ‘এইসব জীবনযাপন’ ছোটগল্পের জন্য রফিকুর রশীদ ও ‘জলপুত্র’ উপন্যাসের জন্য হরিশঙ্কর জলদাসকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে সনদ, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১ টায় ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’ গানের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলা একেডেমির মহা পরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআরপি