বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের প্রয়াণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
একাডেমির রবীন্দ্রচত্বরে আয়োজিত এ সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, কবি-স্থপতি রবিউল হুসাইনের প্রয়াণের পর বাংলা একাডেমি থেকে তার রচনাবলি প্রকাশের দাবি উঠেছে। এ দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। তবে, একই সঙ্গে মনে করি যে, কোনো কবি বা লেখকের নিবিষ্ট পাঠই তাকে তার প্রয়াণের পরও উত্তর প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখে।
সভায় স্মৃতিচারণ ও আলোচনায় অংশ নেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, কবি আসলাম সানী, কবি আমিনুর রহমান, রবিউল হুসাইনের ছোট ভাই তাইমুর হুসাইন, নিকটাত্মীয় খন্দকার রাশিদুল হক নবা প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ ও আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, রবিউল হুসাইনের কবিতায় জীবনের ব্যঞ্জনা ফুটে উঠেছে, যদিও শেষ বিচারে তিনি জীবনবাদী দর্শনেরই অনুগামী। কবিতায় আবেগ বর্জনের নীরিক্ষাধর্মী সাধনা করলেও তার শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো আবেগেরই নির্যাস-জাত। কবিতার সমান্তরালে তিনি লিখেছেন- উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-গবেষণা, শিশুসাহিত্য।
তারা বলেন, ষাটের দশকে এদেশের ছোটকাগজ আন্দোলনেও তিনি প্রমাণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশের আধুনিক বাস্তুকলা বিকাশে রবিউল হুসাইন এক বিশিষ্ট নাম। ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তের বেশ কিছু স্থাপত্যকর্ম তার নান্দনিক চিন্তার সাক্ষ্য বহন করছে। জাতীয় কবিতা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে এ দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
সভায় কবির স্মরণে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন কবি রবীন্দ্র গোপ, কবি তারিক সুজাত, সায়েরা হাবীব এবং কবি খোরশেদ বাহার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কবি পুত্র জিসান হুসাইন রবিন, কবি সানাউল হক খান, ড. ইসরাইল খান, কবি নাহার ফরিদ খান, কবি লিলি হক প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি/