সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের বিকেলে জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বর থেকে শুরু করে চারপাশে বিজয় দিবস ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস। তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে এ প্রদর্শনীতেও। প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এ আয়োজন।
প্রদর্শনীতে ঢুকতেই চোখে পড়ে হানাদার বাহিনীর থেকে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করা মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র। পাশাপাশি হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্রও ঠাঁই পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। আছে কামান, মর্টারের গোলা, মেশিনগান, রাইফেল, বেয়নেটসহ নানাকিছু।
এসব পেরিয়ে গেলেই চোখে পড়ে যুদ্ধপর্বে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের উদ্দেশ্যে লেখা মুক্তিযোদ্ধাদের আবেগময় সব চিঠি। মায়ের কাছে সন্তানের, সন্তানের কাছে বাবার, প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে স্বামীর আবেগঘন এসব চিঠি যে কারো চোখ আর্দ্র করে তোলে।
প্রদর্শনী কক্ষের দেয়ালজুড়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুর্লভ নানান আলোকচিত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতার অডিও ও ভিডিও ক্লিপ, মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। আরো আছে আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যের পরিচয়পত্র।
এ প্রদর্শনী প্রসঙ্গে জাতীয় জাদুঘরের কিপার শিহাব শাহরিয়ার বাংলানিউজকে জানান, জাদুঘরের সংগ্রহে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রায় চার হাজার নিদর্শন রয়েছে। সেখান থেকে বাছাইকৃত প্রায় দুইশ নিদর্শন নিয়ে বিশেষ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রণাঙ্গণের চিঠি ছাড়াও এখানে রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ৯৬টি অস্ত্র, পাক বাহিনীর হাতে শহীদদের মাথার খুলি, হাড়সহ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত নানা নিদর্শন। আছে একাত্তুরে মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে দেশি-বিদেশি পত্রিকার বিভিন্ন সংবাদের কপি, সে সময় প্রতিথযশা শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্ম, পোস্টার। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক শতাধিক বইয়েরও একটি সংগ্রহ রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
ডিএন/এইচজে