দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উৎসবের বিস্তারিত নিয়ে কথা বলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এসময় একাডেমির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, উৎসবে প্রতিদিন তিনটি জেলা, তিনটি উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এবং সংগঠনের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হবে।
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিবেশার মধ্যে রয়েছে, সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ ও গ্রামীণ খেলাধুলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্র্যান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির সচিব মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এইচএমএস/টিএ