ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ছয় কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি নিয়ে আলোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ছয় কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি নিয়ে আলোচনা

ঢাকা: ছিমছাম আয়োজন। আলাপনে উঠে এলো ছয়টি অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের অন্দর-বাহিরের কথা। সে সঙ্গে উপস্থিত শ্রোতারা আগেভাগেই জেনে গেলেন নতুন কাব্যগ্রন্থের খবর। যার প্রতিটিই পাওয়া যাবে আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বাতিঘর বইঘরে 'ষড়তন্ত্র' শিরোনামের এ আয়োজনটি ছিল বুকটকের। অনুষ্ঠানে সাখাওয়াত টিপুর 'রাজার কঙ্কাল' কাব্যগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন কুদরত-ই-হুদা, অলকা নন্দিতার 'দরজায় খিল নেই' নিয়ে আলোচনা করেন মুম রহমান, জাকির জাফরানের 'অন্ধের জানালা' নিয়ে আলোচনা করেন সুমন সাজ্জাদ, সোহেল হাসান গালিবের 'ফুঁ' নিয়ে আলোচনা করেন সুমন রহমান, মাজুল হাসানের 'লালপীড়িত' নিয়ে আলোচনা করেন অভী চৌধুরী এবং হাসান রোবায়েতের 'মাধুডাঙাতীরে' নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ আজম।



অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পেন্ডুলাম প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার রুম্মান তার্শফিক।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাখাওয়াত টিপুর ‘রাজার কঙ্কাল’ বইটি সম্পর্কে কুদরত-ই-হুদা বলেন, ‘রাজা’ নামটাই স্বয়ং রাজনৈতিক। এ কাব্যগ্রন্থে কবির রাজনৈতিক কবিতা বেশি রয়েছে। অন্যান্য কবিতাও রয়েছে পাশাপাশি। তবে রাজনৈতিক কবিতাগুলো সত্তর বা আশি দশকের উচ্চেস্বরের রাজনৈতিক কবিতা নয়। এসব কবিতার মধ্যে মায়া রয়েছে। জড়িয়ে রয়েছে আবেগ ও বিষণ্ন ভালোবাসা।

ছয় কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি নিয়ে আলোচনাঅলকা নন্দিতার 'দরজায় খিল নেই' নিয়ে মুম রহমান বলেন, এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কবিতার বই। ঝুঁকিপূর্ণ এ কারণে যে খিলহীন দরজা বিষয়ে আমরা কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারি না। খোলা দরজা একই সঙ্গে সঙ্কট এবং সম্ভাবনার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, অলকা নন্দিতার কবিতার অন্যতম সুর সরলতা। উত্তরাধুনিক কবিতার জটিলতা পরিহার করেন তিনি। উচ্চারণগুলি সরল, তবে গভীর।

জাকির জাফরানের ‘অন্ধের জানালা’ সম্পর্কে সুমন সাজ্জাদ বলেন, ব্যক্তি শনাক্তের যে ধারা আধুনিক বাংলা কবিতায় রয়েছে, তার ছোঁয়া রয়েছে এ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোতে। নতুন কিছু ভাষা, ভঙ্গিমা যুক্ত হয়েছে এতে। সে সঙ্গে একজন ব্যক্তির বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব ও ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে জাকির জাফরানের কবিতায়। যা এ সময়কার মানুষের প্রতিচ্ছবি।

সোহেল হাসান গালিবের 'ফুঁ' সম্পর্কে সুমন রহমান বলেন, এ কবিতার বইয়ের নাম শুনে মনে হলো, কবি অনু-উচ্চাভিলাষী। নামের কারণে হয়তো এ বই বোদ্ধাদের আকৃষ্ট করবে না। কবি সযতনে হালকা চালে এ বইয়ের কবিতাগুলো লিখেছেন। সোহেল হাসান গালিব ‘চিরায়িতবাদী’ কবি হিসেবে পরিচিত। সে বিষয়টি এবার তিনি ভেঙে দিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত ভাষা ব্যবহার না করে, কবিতার ভাষার মধ্যে সে ভাষাকে যুক্ত করেছেন।

মাজুল হাসানের 'লালপীড়িত' সম্পর্কে অভী চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে মাজুল হাসান লিখেছেন। প্রথাগত উপকারণে না হলেও, তিনি তার কথা বলবার চেষ্টা করেছেন। এ গ্রন্থটিতে পাঠক তাকে নতুনভাবে পাবে।

হাসান রোবায়েতের ‘মাধুডাঙাতীরে’ সম্পর্কে মোহাম্মদ আজম বলেন, বর্তমান সময়ের তরুণদের কবিতা ও প্রবন্ধ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত একটা উচ্ছ্বাস রয়েছে। সেটা হাসান রোবায়েতের কবিতার মধ্যে রয়েছে। কবিতার সাম্প্রতিক ধারা হাসান রোবায়েতের কবিতায় দেখা যায়। তার কবিতায় কাব্যিক সুক্ষতা ও দশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে।

আলোচ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রাজার কঙ্কাল, দরজায় খিল নেই ও ফুঁ প্রকাশ করবে কবিতাভবন, অন্ধের জানালা ও লালপীড়িত প্রকাশ করবে বেহুলা বাংলা এবং ঐতিহ্য মাধুডাঙাতীরে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
ডিএন/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।