ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জাতীয় জাদুঘরে কথা-সুরে ভালোবাসার গান

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
জাতীয় জাদুঘরে কথা-সুরে ভালোবাসার গান

ঢাকা: নগরে এসেছে বসন্ত। তাইতো ফাল্গুনের সকাল থেকেই নগরজুড়ে বসন্তের আয়োজন। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা থেকে বসন্ত উৎসব শেষে সংস্কৃতিমনা মানুষগুলো যোগ দিয়েছিল বাংলা একাডেমির প্রাণের বইমেলায়। আর বইমেলায় বিকেল কাটিয়ে সন্ধ্যায় জুটি বেঁধে সবার গন্তব্য সোজা ‘কথা ও সুরে ভালোবাসার গান’ শুনতে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সঙ্গীত সন্ধ্যা। ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে এ সঙ্গীত সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশের দুই প্রতিশ্রুতিশীল সংগীতশিল্পী রাশেদুল আলম প্রদীপ ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী।

ভালোবাসা দিবসের এ আয়োজনে দুই শিল্পী গেয়ে শোনান নজরুল গীতি, আধুনিক গান, পুরনো দিনের গান আর ফোক গানসহ বিভিন্ন ভালোবাসার গান। তাতে ফুটে ওঠে ভালোবাসার এপিঠ-ওপিঠ। তাইতো ফাল্গুনের রঙ ছড়ানো সেসব গানে ভালোবাসায় বুদ হন দর্শক-শ্রোতারা।

আয়োজনে বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী গেয়ে শোনান ‘তুমি সুন্দর চাই থাকি প্রিয়’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো, সে কথা তুমি যদি জানতে’, ‘যেন কিছু মনে করোনা কেউ যদি কিছু বলে’, ‘নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে রে ভ্রমরা’সহ বিভিন্ন গান। রাশেদুল আলম প্রদীপ পরিবেশন করেন ‘শোন গো দখিনো হাওয়া, প্রেম করেছি আমি’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়লো তোমায় অশ্রু ভরা দুটি চোখ’, ‘বলবো না গো আর কোনদিন ভালবাস তুমি মোরে'সহ বিভিন্ন গান। পরে উভয় শিল্পীর দ্বৈত কণ্ঠে ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’ গানটির পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।

ফাগুন রাঙা দিনের এ সঙ্গীত সন্ধ্যার শেষে শিল্পীদের হাতে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সেন্টারের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সংস্কৃতির যে মেলবন্ধন, সেটিই সাংস্কৃতির সব থেকে বড় বন্ধন।

আয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।