নীলফামারী: রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ফলে সৈয়দপুরের জনপদে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ১০ হাত দূরের কিছুও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।
শীত ও কুয়াশার কারণে কেউ কাজ ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছেন না। সড়ক ও মহাসড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। অনেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ ও পশু। বিশেষ করে নদীপাড়ের লোকজন কাহিল হয়ে পড়েছেন। কয়েকদিন আবহাওয়া ভালো থাকার পর হঠাৎ শীত ও কুয়াশা বাড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এখন লন্ডা বাজার বা পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। সেই সঙ্গে চায়ের আড্ডায় ও খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে লোকজনকে। সকালে স্কুলগামী শিশুরা বড় বেকায়দায় পড়েছে কুয়াশার কারণে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, সকালে সৈয়দপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) রয়েছে মাত্র ২০০ মিটার।
তিনি বলেন, ফ্লাইট চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন। শীতের মৌসুমে সকালের দুটি ফ্লাইট বেলা ১১টায় শিডিউল করা হয়েছে। দুপুরের পর মূলত ফ্লাইটগুলো ওঠানামা করতে পারছে।
বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার এস্ট্রা ও নভোএয়ারের উড়োজাহাজ দুটি শীতকালের জন্য সকাল ৮টার পরিবর্তে সকাল ১১টায় ফ্লাইটের সূচি (শিডিউল) রেখেছে। কিন্তু আজ কুয়াশার কারণে ১১টায়ও ফ্লাইট সৈয়দপুরে অবতরণ করতে পারবে না বলে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার সূত্রে জানা যায়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক একেএম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া জানান, আশা করছি, দুপুরের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রতিদিন চারটি এয়ারলাইন্স ১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। যা ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে চলাচল করে। এছাড়া সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট সরাসরি সৈয়দপুর-কক্সবাজার রুটেও ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
এসআই