ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

মালিন্দোর যাত্রীদের বিমানবন্দরে দফায় দফায় বিক্ষোভ

ইমরান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৪
মালিন্দোর যাত্রীদের বিমানবন্দরে দফায় দফায় বিক্ষোভ ছবি:জনি /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মালিন্দ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বাতিলকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশীয়া যাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে কর্মকর্তারা। দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক যাত্রী দফায় দফায় বিক্ষোভ করে।

বাংলানিউজ রিপোর্ট।

এক পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ার পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের উত্তরা হোটেল মারিনোতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে দেড় শতাধিক যাত্রীর মধ্যে হোটেল মারিনোতে অর্ধশতাধিকের মত যাত্রী গেছেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে দু’একজন নিজ বাসাতে ফিরে গেলেও কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন অনেক যাত্রী। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ফ্লাইট দেওয়ার কথা বললেও তার কোনো নিশ্চিয়তা দিতে পারেননি। এ কারণে অনেক যাত্রী মালয়েশিয়াতে যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
যাত্রী তাপস কান্তি দাস বাংলানিউজকে বলেন, রাত ১টা ১০ মিনিটে মালিন্দ এয়ারলাইন্সের ওডি ১৬১ ফ্লাইটে করে তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তিনি রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। তার মত প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী আসেন বিমানবন্দরে। কিন্তু বিমানবন্দরে এসে মালিন্দ এয়ারলাইন্সের কাউন্টার বন্ধ দেখতে পান। বাংলানিউজ রিপোর্ট।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর কাউন্টার খোলা ও কর্মকর্তা না আসায় রাত সোয়া ১২টার দিকে তার বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তা চরমে রুপ নিলে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে রাত দেড়টার দিকে কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে আসেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা তাদের কাউন্টারে এসে জানান কারিগরি ত্রুটির কারণে ওডি ১৬১ আসবেনা। কর্মকর্তাদের এই কথা শোনার পর যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
তিনি জানান, পূর্বে কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই হটাৎ করেই এমন ঘোষণায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। এই অবস্থায় বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে যাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন কর্মকর্তারা। প্রায় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির মত অবস্থা শুরু হয়। পরে এপিবিএন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
যাত্রী ও পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ফ্লাইট চালু হবে বলে এমন আশ্বাস দেন তারা। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্লাইট না হবে ততক্ষণ হোটেল মারিনোতে অবস্থান করবেন। পরে কিছু যাত্রী উত্তরা হোটেল মারিনোতে যান। বাকি যাত্রীরা কাউন্টারে সামনে অবস্থান নিয়ে থাকেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত অনেক যাত্রী বিক্ষোভ করছিলেন। কেউ অফিসের গুরত্বপূর্ণ কাজে কেউ বা কানিক্টিং ফ্লাইটে অন্য দেশে যাবেন তারা সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
নাম প্রকাশ না শর্তে মালিন্দ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, তারা এখনো মালয়েশিয়া থেকেই এ বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত পাননি। তবে সকাল হোক বা  বিকেল হোক যাত্রীদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো অনিশ্চিয়তা নাই। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীরা এ বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে কোন কিছু না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। তবে এখনো ভোর ৫টা বিষয়টির কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। ওই এয়ারলাইন্সের কিছু যাত্রী হোটেল মারিনো ও কিছু যাত্রী বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।