ঢাকা: এমিরেটস উড়োজাহাজ বহরে সম্প্রতি (২৯ অক্টোবর, ২০১৪) যুক্ত হয়েছে, তাদের শততম বিশ্বের বৃহত্তম দূরপাল্লার দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর।
এমিরেটস বহরের মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত এই উড়োজাহাজটির সাহায্যে এয়ারলাইনটি তাদের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কভুক্ত ৭৭টি গন্তব্যে বর্তমানে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এমিরেটস এ উড়োজাহাজের সর্ববৃহৎ পরিচালনাকারী এয়ারলাইন এবং বিশ্বে এ উড়োজাহাজের সাহায্যে পরিচালিত ৫টি ফ্লাইটের একটি হলো- এমিরেটস। ২০০৫ সালে এমিরেটস তাদের সর্বপ্রথম বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর-এর ডেলিভারি লাভ করে।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি তৈরি করতে ৪৭ দিন সময় প্রোয়াজন হয় এবং এটিতে ৩০ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে। উড়োজাহাজটিতে যে তার রয়েছে, তা লম্বালম্বি সাজালে দুবাই-নিউইয়র্ক-দুবাই দূরত্বের সমান হবে।
এমিরেটস এয়ারলাইনের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্কের মতে, এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজটিতে যে দক্ষতা, উড্ডয়ন ব্যাপ্তি ও পে-লোডের যে সমন্বয় ঘটেছে, তা অনন্য। অদ্যাবধি, এমিরেটস এ উড়োজাহাজের সাহায্যে ১০ কোটি ৮০ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে।
এমিরেটস আরো ২০৪টি এ জাতীয় উড়োজাহাজ কেনার আদেশ প্রদান করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেল ইলেকট্রিকসহ বিভিন্ন সরবরাহকারী কোম্পানিতে ৪ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। জেনারেল ইলেকট্রিক উড়োজাহাজের জিই৯০ ইঞ্জিনের সরবরাহকারী।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর-এর উড্ডয়ন ব্যাপ্তি ১৪,৪৯০ কিলোমিটার। এমিরেটস্ বর্তমানে এ উড়োজাহাজটির সাহায্যে দুবাই ও হিউস্টনের মধ্যে সর্বাধিক ১৩,১২০ কিলোমিটার দূরত্বে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আয়তনের হিসাবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভবন হিসেবে গিনেজ বুক অব রেকর্ডসে স্থান পাওয়া মূল সংযোজনকারী ভবনটির ৯৮.৩ একর জমি জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৪