ঢাকা: স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় গ্রেফতার বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের কথিত ধর্মপুত্র মাহবুবুল হক পলাশ, এয়ারলাইন্সের ডিজিএম এমদাদ হোসেনসহ ৫ জনের রিমান্ড চলছে। এদের রিমান্ড শেষ হলেই বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য জানাবে।
গত শনিবার রাতে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পরিচালনা পর্ষদ সভা সূত্রে জানা গেছে, সোনা চোরাচালানের সঙ্গে বিমানের পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও জামাল উদ্দিন আহমেদের ধর্মপুত্র বিমানের ঠিকাদার পলাশ জড়িত। বিমানের কর্মকর্তা ছাড়াও বিমান চেয়ারম্যানের ধর্মপুত্র গ্রেফতার হওয়ায় বিষয়টি এয়ারলাইন্সের ভার্বমূর্তিতে নেতিবাচক প্রলেপ দিয়েছে। যা পুনরুদ্ধার জরুরি। এ অবস্থায় সবকিছু খোলাসা করতে চায় বিমান। তবে যেহেতু আইনানুগ একটি প্রক্রিয়া (রিমান্ড) চলছে তাই এ অবস্থায় এ নিয়ে বক্তব্য দেওয়া সমীচীন হবে না বলেই মনে করছে বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
রোববার শেষ হবে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড। আর তাই সোমবার কিংবা মঙ্গলবার বিমান কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে সব বক্তব্য তুলে ধরবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
বৈমানিকদের চিঠি
সোনা চোরাচালানের ঘটনায় বৈমানিকদের কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে। এতে বিমানের কর্তব্যরত বৈমানিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সামাজিকভাবেও বেশিরভাগ বৈমানিকরা হেয় হচ্ছেন।
এই প্রেক্ষাপটে বৈমানিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এর নেতারা শনিবার রাতে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ সভায় হাজির হন।
এ সময় তারা লিখিতভাবে সত্যিকার যারা অপরাধে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পুরো বৈমানিক কমিউনিটিকে মানসিক ও সামাজিকভাবে পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্ত করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪
** বিমানের ম্যানেজমেন্টকে দুষলো বোর্ড