ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

কুয়ালালামপুর রুটে বিমানের সময়োপযোগী ফ্লাইট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৫
কুয়ালালামপুর রুটে বিমানের সময়োপযোগী ফ্লাইট ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথে ব্যবসার ধারণা পাল্টেছে। বিশ্বের অধিকাংশ এয়ারলাইন্সই যাত্রীদের সুবিধাজনক সময় বিবেচনা করে ফ্লাইট চালু করছে।

বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ফ্লাইটসূচি তৈরি করছে।

ব্যবসায়ীদের দেওয়া সময়সূচিতে তাই স্লট (উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমতি) পাওয়া দুরুহ হয়ে পড়ছে। বিশ্বের নামি-দামি এয়ারলাইন্সের মতো বিমান বাংলাদেশও এসব বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। স্লটের জন্য মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দেশগুলোর মন্ত্রীরা পর্যন্ত তাদের স্ব স্ব এয়ারলাইন্সের জন্য বাংলাদেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেনদরবার করে থাকে। কারণ তারা জানেন সুবিধাজনক সময়ে ফ্লাইটের সময়সূচি না পেলে যাত্রী মিলবে না।

এরই অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সময়োপযোগী একটি ফ্লাইট চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করেই এই ফ্লাইট চালু করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ এয়ারলাইন্স।

বর্তমানে সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। আর রাতে পরিচালনা করা হচ্ছে সাতটি ফ্লাইট।  

বিমানের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বর্তমানে যে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এতে যাত্রীদের ভালোই সাড়া মিলেছে। চাহিদা থাকলে সকালের ফ্লাইট সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরমুখী ফ্লাইটের যাত্রী সংখ্যা সন্তোষজনক হলেও ফিরতি ফ্লাইটে এই সংখ্যা আশানুরুপ নয়। তবে কুয়ালালামপুরমুখী ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা বাড়া ইতিবাচক।

এই রুটে বিমান নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭ ৩০০ ইআর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।  

বিমান এক কর্মকর্তা বলেন, সকালের এই ফ্লাইটে গিয়ে বিকেলে ব্যবসায়িক মিটিংয়ে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু রাতের ফ্লাইটে যাত্রাপথের ক্লান্তি ও ঘুম হয় না অনেকেরই। এ অবস্থায় রাতের ফ্লাইটে গিয়ে পরদিন সকালে ব্যবসায়িক মিটিং করাটা দুরূহ হয়ে পড়ে।

সকালের ফ্লাইট নিয়ে বিমানের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রচারণাও করা হয়নি। এরপরেও যাত্রী উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক। সুনির্দিষ্ট করে সকালের ফ্লাইট নিয়ে প্রচারণা করা গেলে যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়বে। তখন ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো যাবে বলে মন্তব্য করেন বিমানের ওই কর্মকর্তা।  

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স রাতে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। এতে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগই পোহাতে হয়। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের জন্য রাতের ফ্লাইট সুবিধাজনক নয়। এ বিষয়টি চিন্তা করেই বিমান কুয়ালালামপুর রুটে সকালের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৫ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।