বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: রাজধানীতে অনুষ্ঠিত তিনদিনের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছিলো জনপ্রতি ২০ টাকা। তবে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২২ মে) মেলার দ্বিতীয় দিনে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান মেলার নির্বাহী পরিচালক রেজাউল একরাম রাজু।
রাজু বলেন, মেলায় যারা আসতে চান তাদের যাতায়াত ভাড়া, বাইরে একটু খাওয়া বাবদ বেশ খরচ হয়। এর মধ্যে পরিবারের সব সদস্য মেলায় আসতে চাইলে প্রবেশ ফিতে বড় একটি অ্যামাউন্ট চলে যায়। আমরা এদিক থেকে মেলায় আসতে আগ্রহীদের সুবিধা দিতে চাই। বিনা খরচে তারা মেলায় ঢুকবেন, প্যাকেজ ও প্রোডাক্টগুলো পছন্দ করবেন, সেটাই চাই।
তিনি বলেন, আমরা পর্যটন খাতের উন্নয়ন চাই। চাই মানুষ আসুক, ঘুরে বেড়াক। প্রথমদিনে অনিবার্য কারণে কয়েকটি ঘণ্টা মেলা বন্ধ ছিলো। যারা স্টল নিয়েছেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা মেলার প্রবেশ ফি নিচ্ছি না।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে বৃহস্পতিবার এ মেলা শুরু হয়। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এর উদ্বোধন করেন।
একই ভেন্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠান থাকায় মেলা কয়েকঘণ্টা বন্ধ থাকে।
সন্ধ্যায় মেলা শুরু হলেও কম্বোডিয়ার স্টলে সেদিন আর কাউকে দেখা যায়নি। অংশগ্রহণকারী বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতেও প্রবেশ ফি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হবে বলে মনে করছেন রাজুসহ মেলার অন্য আয়োজকরা।
১৯ মে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন মেলায় ১৫ মিলিয়ন ডলার আয় হবে। গতবছরের মেলায় আয় হয়েছিলো ৭/৮ মিলিয়ন ডলার।
এবারই প্রথম ভুটান ও কম্বোডিয়া বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় অংশ নিয়েছে। এছাড়া অংশ নিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী রতন ভৌমিক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্টসের সভাপতি ডি. বি. লিম্বু, অ্যাসোসিয়েশন অব ভুটানিজ ট্যুর অপারেটরস-এর নির্বাহী পরিচালক সোনম দর্জিও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৫
এসকেএস/এএ