বার বার চোখ যাচ্ছে আগমনী ও বহির্গামী ফ্লাইট শিডিউলের মনিটরে। কিন্তু একি!ইংরেজিতে এক তথ্য তো, বাংলায় আরেক তথ্য।
ঢাকার আকাশে বয়ে যাওয়া ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজ উঠানামায় কিছু সময়ের বিরতি টানে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তারপর থেকেই রানওয়ের পরিবর্তে আকাশই ঠিকানা হয় ঢাকাগামী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর।
দীর্ঘসময় আকাশে ওড়ার পর ইয়াংগুন থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৬১ ফ্লাইট ও ব্যাংকক থেকে আসা একই বিমান সংস্থার বিজি ০৮৯ ঘুরিয়ে দেয়া হয় চট্রগ্রাম অভিমুখে।
ব্যাংকক থেকে আসা স্বজনকে স্বাগত জানাতে ভিভিআইপি কক্ষে অপেক্ষায় ছিলেন শীর্ষ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যতবার মনিটরে ফ্লাইটের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চোখ রাখছেন, ততবারই চোখে জ্বালা ধরছে তার।
ঘড়ির কাঁটায় যখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা তখন মনিটর বলছে,ব্যাংকক থেকে আসা একই বিমানের বিজি ০৮৯ ফ্লাইটটির ঢাকার রানওয়ে স্পর্শ করার সম্ভাব্য সময় ৫টা ২৪ মিনিট।
তিনি একে একে জিজ্ঞাসা করছিলেন উড়োজাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে। কিন্তু সেখানে থাকা সবাই যেন নিরুত্তর। নির্বাক।
সবার দৃষ্টিই মনিটরে। ফেলে আসা সময়ের দিকে। যারা এই তথ্য আপডেটের কাজে নিয়োজিত ছিলেন,তারা কি ঘুমিয়ে আছেন?
আচ্ছা এভাবেই কি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পিছিয়ে পড়ছে সময়ের সাথে?
এমন প্রশ্নেই সরব ছিলো ভিআইপি লাউঞ্জ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
জেএম