টিকিট ক্রেতার পাশাপাশি ইউএস-বাংলার স্টলে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। তবে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ও ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা প্যাকেজের টিকিট বিক্রিতেই দর্শনার্থীদের সাড়া সবচেয়ে বেশি ছিলো বলে জানিয়েছেন ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী মেলার শেষ দিন ছিলো শনিবার (২২ এপ্রিল) এদিন ইউএস-বাংলার স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, লাইনে দাঁড়িয়ে আগাম টিকিট কিনছেন একের পর এক ক্রেতা। বেশির ভাগই টিকিট বুকিং দিচ্ছেন ঈদ পরবর্তী কয়েক দিনের জন্য।
ইউএস-বাংলার ঢাকা-কলকাতা (রিটার্ন) প্যাকেজের টিকিট ক্রেতা সুশান্ত বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য এয়ারলাইন্সের চেয়ে সস্তা হওয়ায় ইউএস-বাংলার টিকিট কিনেছি। ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে টিকিটের দাম মাত্র ৯ হাজার টাকা।
ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা বলেন, সহজে ভিসা পাওয়া এবং দাম অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কম থাকায় ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা এবং ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে ভ্রমণের আগ্রহ বেড়েছে যাত্রীদের।
মেলায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, চট্টগ্রাম-কলকাতা-চট্টগ্রাম এবং দেশের যে কোনো রুটে ভ্রমণের জন্য ১৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ছাড় দেয়া হয়েছে ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
ইউএস-বাংলার অফারে মেলায় ঢাকা-কলকাতা-ঢাকায় ৯ হাজার, ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা ১৯ হাজার, ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা ১৮ হাজার ৫০০ এবং ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটের টিকিট পাওয়া গেছে ২২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এছাড়াও ঢাকা-সিঙ্গাপুর-কুয়ালালামপুর-ঢাকা টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার ২২৫ টাকায়। পাশাপাশি ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ টাকায়।
মেলায় ইউএস-বাংলার স্টল থেকে কেনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য ক্রেতাদের ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২১ জুন এর মধ্যেই ভ্রমণ করতে হবে। এর মধ্যে যারা নির্ধারিত দিনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তাদের তারিখ পরিবর্তনের জন্য অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে।
ইউএস-বাংলা’র মাকেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের ডিজিএম কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নতুন। আমাদের এয়ারলাইন্সকে মানুষের কাছে পরিচিত করার পাশাপাশি সব ধরনের সেবা ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। মেলায় অংশগ্রহণ করে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছি।
তিনি বলেন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্যাকেজ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে এয়ার ফেয়ার, হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, প্ল্যান ফেয়ার এবং টুরিস্ট স্পটগুলো ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও ‘পিক আন্ড ড্রপ’ সার্ভিস অথাৎ হোটল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিবহনের সার্ভিস সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ইউএস-বাংলার যাত্রীদের।
তিনি আরো বলেন, আরো বেশি সুবিধা নিয়ে চলতি বছর ঢাকা থেকে দোহা (কাতার) এবং চীনের গুয়াংজুতে নতুন ফ্লাইট চালু হবে। মেলায় দর্শনার্থীদের মাঝে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা, চট্টগ্রাম-কলকাতা এবং ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাস্কাট এবং কাঠমান্ডু রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর,রাজশাহী ও বরিশাল রুটে নিয়মিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি।
২০১৪ সালে ১৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে প্রতি সপ্তাহে ২শ’টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা।
যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা যা বাংলাদেশে এভিয়েশনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২,২০১৭
এমএফআই/আরআই