এবার মাসের পর মাস বাকিতে জ্বালানি নিয়ে দেনার দায়ে ন্যুজ্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড দেশের বৃহত্তম তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি উড়োজাহাজে জেট এ-১ তেল সরবরাহ করে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া আর সব দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্স নগদ মূল্যে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অব্যাহতভাবে বাকিতে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করায় বকেয়ার পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংস্থাটি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে বাকিতে জ্বালানি দিয়ে আসছে। দেনার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। পাওনা আদায়ের জন্য ২০১৬ সালে ২০ নভেম্বর একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। তারপরেও দেনা পরিশোধ করেনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
গত ০৬ জুলাই বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে দ্রুত দেনার টাকা উত্তোলন করে বিপিসির লোকসানের পরিমাণ কমিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হয়।
সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রে ঘেটে এমন দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া যায়। রাষ্ট্রের এক প্রতিষ্ঠানকে লোকসানে রেখে আরেক প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে বিমানের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এত বিল বকেয়া পড়েছে। সংসদীয় কমিটির কাছে এমন অভিযোগও রয়েছে বিল দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সময় টাকা উত্তোলন করা হলেও জমা পড়েনি বিপিসিতে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ/বিএস