সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ মঙ্গল, শুক্র ও রোববারে ঢাকা- দিল্লি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সময়টাও অনেক চমৎকার, ঢাকা থেকে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায় দিল্লি উদ্দেশ্যে।
দিল্লি থেকে দুপুর ১.৫০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি এবং পৌঁছায় বিকেল ৪.৫০ টায়।
দিল্লি রিটার্ন টিকেট শুরু হয়েছে ২৭ হাজার টাকা থেকে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট কলকাতা হয়ে দিল্লি যাওয়ার সুবিধা দিচ্ছে এই এয়ারলাইন্সটি। কলকাতা থেকে রয়েছে দিল্লির সুবিধাজনক সংযোগ। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা-দিল্লি রয়েছে কানেকটিং ফ্লাইট। এই ফ্লাইটের ভাড়া শুরু হয়েছে ২০ হাজার টাকা থেকে। এই সাশ্রয়ী দর পেতে হলে একদিন কলকাতায় অবস্থান করতে হবে কানেকটিং ফ্লাইটের যাত্রীদের।
কানেকটিং ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় রাত পৌনে ১০টায়। কেউ যদি শুক্রবার ঢাকা থেকে কলকাতা যান, তাকে কলকাতা থেকে পরদিন দিল্লির ফ্লাইট ধরতে হবে। আর পরদিন যে কোন সময়ে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে পারবেন।
কলকাতা-দিল্লি রুটে সকাল ৭টা, ১০টা, বিকেল সাড়ে ৫টা ও রাত সোয়া ৮টায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।
এয়ার ইন্ডিয়ার এই পথচলায় হোচট খেয়েছে জেট এয়ারের মনোপলি ব্যবসা। জেট এয়ার এতোদিন এই রুটের যাত্রীদের গলা চেপে টাকা আদায় করছিলো বলে তৌফিক নামের একজন যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
তিনি জানান, এতোদিন জেট এয়ার মনোপলি বিজনেস করেছে। এই রুটের চেয়ে বেশি দুরত্বেও এতো ভাড়া ছিলো না। শুধু অন্য কোন ফ্লাইট ছিল না বলে তারা গলাকাটা দাম আদায় করতো।
এতোদিন এই রুটে জেট এয়ার সর্বোনিম্ন ভাড়া ছিলো ৪২ হাজার টাকা। একবার বিজনেস ক্লাসের টিকেটের জন্য প্রায় লাখ টাকা গুনতে হয়েছিলো তাকে বলে জানান তৌফিক হোসেন।
যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার ধাক্কায় কিছুটা দর কমাতে বাধ্য হয়েছে জেট এয়ার। তারা এখন ৩৩ হাজার টাকা সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। অর্থাৎ এখন ৬ হাজার টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে জেটের যাত্রীদের। বাংলাদেশ বিমান এক সময় রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতো। কিন্তু হঠাৎ করে রুটটিতে ফ্লাইট অপরেশন বন্ধ দিলে জেটের কব্জায় চলে যায় যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসআই