আনুষ্ঠানিকভাবে এয়ারক্রাফটটিকে গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ।
এয়ারক্রাফট রিসিভিং অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) মসিউল আজম, পরিচালক (প্রকৌশল) ইমামুল মজিদ, জেনারেল ম্যানেজার (কাস্টমার সার্ভিস) ইমরান আহমেদ, জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) জুলফিকার আলীসহ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
চীনের জিনান শহর থেকে ইউএস-বাংলার ক্যাপ্টেন ইলিয়াস মালিক ও ক্যাপ্টেন রুহুল কাদির নতুন সংযোজিত এয়ারক্রাফটটিকে পরিচালনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। অবতরণের পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও ইমরান আসিফ এয়ারক্রাফটটির ক্যাপ্টেনদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর এয়ারলাইন্সের সার্বিক উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়।
নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটটিতে ৮টি বিজনেস ক্লাস ও ১৫৬টি ইকোনমি ক্লাসের আসনসহ মোট ১৬৪টি আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দু’টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে যশোরে উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
নতুন যুক্ত হওয়া বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে মোট সাতটি এয়ারক্রাফট রয়েছে যার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০।
“ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ” স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, অধিকতর আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ বছরের মধ্যে আরো দু’টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট নিজেদের বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৩শ’টির অধিক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। যাত্রা শুরু করার পর এয়ারলাইন্সটি তিন বছরে ৩০ হাজার এর অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, মাস্কাট, কলকাতা ও কাঠমাণ্ডু সহ অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে নিয়মিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দোহা রুটে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া খুব শিগগিরই জেদ্দা, দাম্মাম, রিয়াদ, হংকং, দিল্লি, চেন্নাই, গুয়াংজুসহ বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে শতকরা ৯৮.৭ ভাগ অন-টাইম ফ্লাইট অপারেশন এবং আন্তর্জাতিক মানের কেবিন সার্ভিস ও উন্নত মানের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিসের মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ডিজিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট এন্ড পিআর) মো. কামরুল ইসলামের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
আরআই