জানা যায়, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে কোনো ফ্লাইট না থাকায় যাত্রীদের যেমন সময় অপচয় হয়, তেমনি ভোগান্তিও হয়। সেই ভোগান্তি লাঘবে প্রথম কোনো এয়ারলাইন্স হিসেবে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ায় দেশের অভ্যন্তরে আকাশপথে ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সময় বাঁচাতে মানুষ প্লেনে যাত্রা করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সিলেটের মানুষের চাহিদা থাকায় এ ফ্লাইট চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। তবে রুট দু’টির ভাড়া কিংবা ফ্লাইট টাইম এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এয়ারলাইন্সটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের পরিচয় বহনকারী প্রতিষ্ঠান। শুধু মুনাফা করা উদ্দেশ্য নয়, মানুষকে সেবা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেক রুট চালু করেছি।
তিনি বলেন, সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের যাতায়াত করতে এ রুট চালু করছি। সিলেটের অনেকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে এ রুটে ফ্লাইট চালু করি। তাই সিলেটবাসীর চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ রুটে আগামী জুলাই মাসে ফ্লাইট চালু করা হবে।
সিলেট থেকে নিয়মিত চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী রুহুল চৌধুরী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাস কিংবা ট্রেনে চট্টগ্রাম যেতে অনেক সময় লাগে। এ রুটে কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট না থাকায় বাধ্য হয়ে বাসে-ট্রেনে যাতায়াত করি। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে ধন্যবাদ দেই, এ রুটকে নতুন গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা যারা নিয়মিত যাতায়াত করি, তারা এ সংবাদ শুনে আনন্দিত।
ব্র্যান্ডনিউ নেক্সট জেনারেশন এয়ারক্রাফট এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফটটি সরাসরি কারখানা থেকে সংযুক্ত হয়েছে ইউএস-বাংলার বহরে। দেশে প্রথম এ ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এয়ারক্রাফট একমাত্র ইউএস-বাংলাই ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
টিএম/এএ