বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে আসার কথা ছিল নতুন এয়ারক্রাফটটি। কিন্তু পিছিয়ে আগামী শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে নতুন ড্রিমলাইনারটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানের জনসংযোগ দপ্তরের ব্যবস্থাপক তাসনিম আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, বোয়িং এয়ারক্রাফটটি বুঝিয়ে দিতে দেরি করছে। এজন্য বৃহস্পতিবার আসবে না রাজহংস।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এরইমধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। চতুর্থ এবং শেষ উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ বৃহস্পতিবার দেশে আসছে। ‘রাজহংস’ বিমান বহরে সংযোজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ১০টি উড়োজাহাজের সবই বিমান বুঝে পাবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। এর আগে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ইআর এর নামও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া। যেগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত এবং ময়ূরপঙ্খী।
টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি প্রয়োজন হবে। ‘রাজহংস’-এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি, আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।
সম্প্রসারিত বহর দিয়ে বিমান তার চলমান রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন গন্তব্য সংযোজন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ১৩ মে ঢাকা-দিল্লী রুট চালু হয়েছে, ২৮ অক্টোবর মদিনা এবং নভেম্বরে গোয়াংজু নতুন রুট চালু হবে। এছাড়াও আগামীতে ম্যানচেস্টার, কলম্বো, মালে, টোকিও এবং নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন।
বহর পরিকল্পনা একটি চলমান প্রক্রিয়া, এই ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিমান কানাডা কমার্শিয়াল কোম্পানি থেকে স্বল্প পাল্লার ৩টি নতুন ড্যাশ৮- কিউ৪০০ কিনেছে, যা ২০২০ সালের মার্চ-জুন মাসের মধ্যে বহরে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
টিএম/এএ