তবে ক্রমবর্ধমান হারে যাত্রী বাড়লেও সেই তুলনায় বিমানবন্দরগুলোতে বাড়ছে না মানসম্মত সেবা। তাই বিমানবন্দরে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারকে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, স্বাধীনতার এত বছরেও দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে বিনিয়োগও বাড়ছে না। যদি দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বন্ধ হওয়া বিমানবন্দর চালু করা যায়, তাহলে সরকার যেমন লাভবান হবে, তেমনি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগেও হবে বিপ্লব।
অভিযোগ আছে, যাত্রীর চাপ বাড়লেও বাড়েনি বিমানবন্দরগুলোর হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ও অবকাঠামো সুবিধা। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যে সিটিং ক্যাপাসিটি থাকা উচিত, সেই সুবিধাও নেই।
টার্মিনাল ও ল্যাগেজ সুবধা বাড়ানো হলে যাত্রীরা মানসম্মত সেবা পাবে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালে যেখানে আকাশপথে যাত্রী ছিল ১৩ লাখ, ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ লাখে। আর ২০১৮ সালে প্রায় ৪০ লাখে গিয়ে পৌঁছেছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে সব উড়োজাহাজ সংস্থার প্রতিদিন গড়ে ১৯২টি ফ্লাইট চলাচল করে। আর যাত্রী ভ্রমণ করে প্রায় ১০ হাজার।
জানা যায়, সড়কপথে বিড়ম্বনা এড়িয়ে কম সময়ে গন্তব্য পৌঁছাতে যাত্রীরা এখন আকাশপথ বেছে নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সব বিমান পরিবহন সংস্থা এখন অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে।
তথ্য বলছে, বর্তমানে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও নভোএয়ার। কয়েকটি রুটে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে কয়েকটি এয়ারলাইন্স।
বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, অ্যাভিয়েশন সেক্টরে সরকারের সুনজর দেওয়া প্রয়োজন। যদি ফুয়েলের দাম ও এয়ারপোর্ট ব্যবহার চার্জ কমানো হয় তাহলে খরচ কমবে। ফলে টিকিটের দাম আরও সহনীয় হবে।
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন। যদি বিমানবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করা যায়, তাহলে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
টিএম/এএ