ঢাকা: পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ সত্যকে চেপে রেখে ন্যায়কে কবর দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২২ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, জঙ্গি হোক বা অন্যকোন অপরাধীই হোক, সরকারের জিম্মায় তারা খুন হয় কীভাবে? বন্দি মানুষ বন্দুক, গোলা-বারুদ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেয় কীভাবে? রিমান্ড তো কঠোর নিরাপত্তায় বন্দিত্বের সর্বোচ্চ স্তর, সেখানে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা আসামি খুন হয় কীভাবে?
প্রয়াত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন শরিফুলকে মেরে না ফেললে তার কাছ থেকে আরো তথ্য পাওয়া যেতো। শরিফুলকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার পর জানা যাচ্ছে- তার নাম মুকুল রানা। পুলিশের কাছে শরিফুল যেসব নামে পরিচিত ছিল, তাতে মুকুল রানা নামটি ছিল না। পুলিশ তার পরিচয় তুলে ধরতে পারেনি।
প্রকৃত জঙ্গি ধরতে ব্যর্থ হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেদারসে ক্রসফায়ার দিচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এতে প্রতীয়মান হয় যে, পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ সত্যকে চেপে রেখে ন্যায়কে কবর দিচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সহায়তা করছে।
ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরার একটি খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই পুলিশ কমিশনার বিএনপির উপর দায় চাপাচ্ছেন। তার এ বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর স্বভাবসূলভ বক্তব্যের মতো। পৃথিবীর যে দেশে ন্যূনতম আইনের শাসন আছে, সেখানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এভাবে বক্তব্য দেন না।
রিজভী বলেন, যে অস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই আমদানি ও ব্যবহার করে থাকে। পিস্তলগুলোর মধ্যে ৯৫টিই ৭.৬২ বোরের পিস্তল, যা পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবহার করে। তাছাড়া তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেস্টনিতে আবদ্ধ এলাকায় দিনের বেলা নম্বরবিহীন একটি কালো রঙের পাজেরো গাড়ি এ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ফেলে গেল কীভাবে?
সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা, রিমান্ডে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং উত্তরার খালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার একই সূত্রে গাঁথা-বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
এজেড/এসএইচ