ঢাকা: দারুণ চমক দেখালেন সালাহউদ্দিন আহমেদ! সরকারের আমলা হিসেবে যে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পারসোনাল সেক্রেটারি (পিএস), তিনিই এখন দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক হিসেবে বসবেন খালেদা জিয়ার পাশের চেয়ারে। দল পরিচালনার জন্য দেবেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
সালাহউদ্দিন আহমেদের অতীত রেকর্ড ঘেটে দেখা যায়, সরকারের আমলা হিসেবে যেমন দুর্নীতিতে ছিলেন চ্যাম্পিয়ন, ঠিক তেমনি আমলা থেকে আবার রাজনীতিবিদ বনে যাওয়ার পর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়ও দুর্নীতিতে ছিলেন চ্যাম্পিয়ন।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব চেয়ে নিন্দিত কাজটি তিনি করেছেন জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস নির্ভর আন্দোলনের সময়। চারদিকে যখন পেট্রোল বোমায় নিরীহ নারী শিশু মরছিল, ঠিক সেই সময় অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা ও প্রেসরিলিজ পাঠিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার মিছিলে নতুন মাত্রা যোগ করছিলেন তিনি।
সূত্রমতে, এক সময় সরকারকে বিপদে ফেলতে নিজেই অজ্ঞাত স্থান থেকে গুম হয়ে যান। অবশেষে গোপনে বর্ডার পার হয়ে ভারতের সবচেয়ে নান্দনিক, নিরাপদ ও উপভোগ্য স্থান মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে গিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সরকারকে বিব্রত করার পাশাপাশি ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজটিও করে ফেলেন সালাহউদ্দিন। যার ফলে কাগজপত্র ছাড়া অনুপ্রবেশের অপরাধে গ্রেপ্তার হলেও ভারত সরকারের অনুকম্পায় জামিনে মুক্ত হয়ে সরকারি কটেজে অবস্থান করছেন।
কারো কারো মতে, খালেদা জিয়া আসলে সালাহউদ্দিনকে দিয়ে বড় ধরনের গেম খেলতে চেয়েছিলেন। তাকে দিয়ে গুমের নাটক সাজিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলাই তার লক্ষ্য ছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনা যাই ঘটুক। মাঝখান থেকে লাভবান হয়েছেন সালাহউদ্দিন নিজেই। এক সময় সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির এমপি-মন্ত্রী এমনকি মাঝারি মানের নেতাদেরকেও জ্বি ম্যাডাম, জ্বি স্যার বলতে বলতে যিনি মুখ দিয়ে ফ্যানা তুলতেন, সেই তিনিই এখন খালেদা জিয়ার পাশের চেয়ারে বসবেন। আর দলের অনেক যোগ্য, পরিক্ষীত, প্রবীণ, প্রাজ্ঞ নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের পেছনে বসে তার ক্যারিশমাটিক উত্থান চেয়ে চেয়ে দেখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৬
এজেড/এসএইচ