ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

ফেনীতে বিএনপি প্রার্থীকে অবরুদ্ধের অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
ফেনীতে বিএনপি প্রার্থীকে অবরুদ্ধের অভিযোগ সংবাদ সম্মলনে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনী-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তিনি তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলন করে এ অভিযোগ করেন।

এসময় তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ফেনী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোয়নপত্র জমার পর থেকেই সরকার দলীয় স্বশস্ত্র ক্যাডাররা আমার বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে করে মহড়া দেন।

ফাঁকা গুলি ছোড়েন এবং গালি-গালাজ করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। সেইসঙ্গে তা না করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।
 
তিনি আরও বলেন, ক্যাডাররা শহরের ফলেশ্বরস্থ আমার বাড়ির প্রধান প্রবেশ মুখ, সদর উপজেলা কার্যালয়ের মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড়, পুরাতন রানির হাট ও বাড়ির পশ্চিম পাশের ফেনী-বিলোনয়া রেল লাইনসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক অস্ত্রধারী ক্যাডার অবস্থান নেন। এদের মধ্যে শহরের ৫নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম, জাহিদুল ইসলাম, আজম খান, সজিব, আরাফাত, সাদ্দাম এবং ৬নং ওয়ার্ডের ফলেশ্বর গ্রামের আবদুল হালিম, রফিকুল ইসলাম রুবেল, আবদুল করিম, আবদুল হালিম সুমন, সোনাপুর গ্রামের গণিসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেক ক্যাডার রয়েছেন।  

এ ব্যাপারে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ওয়াহিদুজজামান, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিয়োগ করেন।

জয়নাল বলেন, অবরুদ্ধ অবস্থায় আমাকে দেখতে আসার পথে অস্ত্রধারী ক্যাডাররা রাজনৈতিক লোকজন ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং কাজীরবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামছু মিয়া, ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্ছু, শর্শদি ইউনিয়নের তারেক, ইকবাল, মনি, ইয়াসিন শাহাদাত এবং ফতেহ পুরের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়াসহ কয়েকজনকে মারধর ও নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করেন।  

সর্বশেষ তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, কোন প্রকার ভয়-ভীতিকে পরোয়া করি না। আমাকে জানে মেরে ফেললেও আমি নির্বাচন থেকে সরে যাবো না।

তবে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগের ব্যাপারে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি অপপ্রচার।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শহীদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, নাশকতার অভিযোগে বিএনপির পাঁচ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮ 
এসএইচডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।