ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি-যুবদলের বিক্ষোভ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি-যুবদলের বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে। পরে এটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

 বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মিছিল শেষে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার রহস্যজনক কারণে গত দশদিন আগে ক্যাসিনো, জুয়া এবং মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করে। এরপর আমরা বলেছিলাম এটা আইওয়াশ। লোক দেখানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। এখন সেটাই বাস্তবে দেখতে পাচ্ছেন আপনারা। ক্রমেই হাস্যকর হয়ে উঠেছে এ কথিত অভিযান। ঢাক-ঢোল-তবলা বাজিয়ে কয়েকটা ‘যদু-মধু’ আটক করার পর এখন মন্ত্রীরা চিৎকার দিয়ে বিএনপি’র ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পত্র-পত্রিকা-মিডিয়ায় যেসব গডফাদারদের নাম আসছে তারা বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।  কারণ এ গডফাদারদের পৃষ্ঠপোষক বর্তমান মিডনাইট সরকার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দেশে শুধুমাত্র মদ, জুয়া ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির উন্নয়ন ঘটেছে। ঢাকায় কয়েকটি লোক দেখানো অভিযানেই তারা সীমাবদ্ধ। এ সামান্য অভিযানেই জনগণ দেখতে পেয়েছে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ চুনোপুটি নেতাদের ঘরে ঘরে অবৈধ টাকার খনি। কাড়িকাড়ি টাকা, সোনা-দানার খনি। এখন সবার কাছে এটি স্পষ্ট যে, ব্যাংকে কেন টাকা নাই। ভুয়া উন্নয়নের ঠেলায় তাদের প্রতিটি বাড়িই এখন টাকশাল।

‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বাড়িতে এখন টাকা গোনার মেশিন বসিয়েছে।  মানুষের সম্পদ লুট করে জমানো টাকা হাতে গোনা যায় না, তাই তাদের মেশিন লাগছে।  এটা দশ বছরের শিশু থেকে শত বছরের বৃদ্ধ সবাই জেনে গেছে। দেশের সব মানুষ এখনো ভাত পায় না, লাখ লাখ মানুষের জীবন অভাব অনটনে দুর্বিষহ আর আপনাদের হাজার হাজার নেতা বিদেশে লুটের টাকায় বাড়ি কিনছে। শুধু বিদেশেই নয়, দেশেও তারা অবৈধ ক্যাসিনো উৎসবে মেতে উঠেছে। বর্তমান মিডনাইট সরকার দেশটাকে জুয়াড়িদের আড্ডাখানায় পরিণত করেছে। এখনো মূল অপরাধীরা অধরাই থেকে গেছে। এ দেশ বেশিদিন অনাচার-অবিচার-অন্যায়-দুর্নীতি সহ্য করেনি। এদের ভয়াবহ পরিণতি এগিয়ে আসছে। শাদ্দাদের বেহেশতের মতো এ দুরাচারদের স্বর্গ যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে। ’

বিক্ষোভ মিছিলের পরে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএইচ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।