ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব দেখতে চাইলেন মওদুদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব দেখতে চাইলেন মওদুদ মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী ও এমপিদের সম্পদের হিসাব দেখতে চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেছেন, আমরা সব মন্ত্রী ও এমপির সম্পদের হিসাব দেখতে চাই। জনসম্মুখে এই হিসাব দিতে হবে।

মন্ত্রী-এমপি হওয়ার আগে তাদের কত সম্পদ ছিল এবং এখন তাদের সম্পদ কত হয়েছে, সেটা আমাদের দেখা প্রয়োজন। কারণ দেশের মানুষ এই সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। যদি তারা এই দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা ধরে নেব এই সরকারের প্রত্যেক এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যায়।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, বিশ্ব পরিক্রমার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন না-কি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত ধনী হওয়া যায়। এতে বাংলাদেশ টপে আছে। কারা ধনী হচ্ছে, এই জুয়াড়িরা, ক্যাসিনো ওয়ালারা। আর যারা ব্ল্যাক মার্কেটিং করে তারা। সরকারের হয়ে ওভার ইনভয়েসিং করে ওভার ইমপোর্ট করে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে, ব্যাংকিং অবস্থা কলাপস হয়ে গেছে।

এই সরকারের পরতে পরতে দুর্নীতি ঢুকে গেছে দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, এই অভিযান সফল হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রলীগের রাব্বানী ও শোভন এবং সম্রাটদের না ধরা হবে। এদের পেছনে যে মন্ত্রী-প্রভাবশালীরা আছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের অঙ্গপ্রতঙ্গে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। সেজন্য অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তারা যদি এটা না করে, তাহলে দুর্নীতির বোঝায় এই সরকারের পতন হতে বাধ্য।

খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেতা ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, সেজন্য তিনি জেলখানায় দাবি করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, দুই কোটি টাকার একটা বানোয়াট মামলায় তাকে ১৭ মাস ধরে জেলখানায় রাখা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তার জামিন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। হচ্ছে না। সরকারের প্রভাবের কারণে। আদালতের বিচারকদের এখন আর কোনো স্বাধীনতা নেই। সে কারণে খালেদা জিয়া এখনও কারাবন্দি। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা চেষ্টা করছি, করে যাব। কিন্তু এটাতে যথেষ্ট হবে না। তার মুক্তির একমাত্র পথ হলো রাজপথ।  

নিমজ্জিত স্বেচ্ছাসেবক দলকে হাবিব উন নবী সোহেল জাগিয়ে তুলেছেন উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, সময় যখন আসবে, কর্মসূচি যখন দেওয়া হবে, আপনারা যদি রাজপথে নামতে পারেন, তখন স্বেচ্ছাসেবক দলের পরীক্ষা হবে। আমরা দেখতে চাই সেদিন সেচ্ছাসেবক দল সেই আন্দোলনের অগ্রভাবে থাকবে। প্রচুর বৃষ্টির মধ্যেও মানববন্ধন সফল করায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সব নেতাকর্মীকে তিনি ধ্যনবাদ জানান।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসিন আলী, কামরুজ্জামান, এসএম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।