ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় দর্শনার্থীর তুলনায় বাড়ছে ক্রেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
বইমেলায় দর্শনার্থীর তুলনায় বাড়ছে ক্রেতা

ঢাকা: ব‌ইমেলার ১৬তম দিনে এসে বেড়েছে পাঠক ও বই বিক্রির হার। মেলার প্রায় অর্ধেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় বই দেখার পাশাপাশি এখন পছন্দের বই সংগ্রহ করতে মনোনিবেশ করেছেন পাঠকরা।

মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ব‌ইমেলায় সাধারণত বিক্রেতাদের একটি নিয়মিত অভিযোগ ছিল মানুষ ব‌ই দেখে বেশি কিন্তু কিনে কম।

তবে মেলার শুরুর দিকের পরিস্থিতি এমন হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের বিক্রি বাড়ছে বলে স্বীকার করছেন বিক্রেতারা। প্রতিদিন‌ই আসছে নতুন ব‌ই। এখন দর্শনার্থী ও ক্রেতার অনুপাতে প্রায় সমান অবস্থা বিরাজ করছে। শুক্র ও শনিবার রয়েছে ছুটির দিন। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই বিক্রি আরও বাড়ার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। একইসঙ্গে স্বস্তি ফিরছে প্রকাশকদের মনে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার দ্বার উন্মোচন হয় বিকেল ৩টায়। ছুটির দিন না হওয়ায় মেলায় সেদিন ভিড় ছিল না। মেলায় যারা যাচ্ছেন তাদের অনেকে তালিকা ধরে ধরে বই কিনছেন। অনেকে কাঙ্খিত বইয়ের বিষয় বলে প্রকাশকদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করছেন। অনেকে ক্যাটালগ থেকে বই পছন্দ করে নিচ্ছেন।

চন্দ্রদ্বীপ প্রকাশনীর শামিমা শাহীন বলেন, মেলায় এখন বিক্রি বাড়ার উপযুক্ত সময়। কেননা ব‌ইমেলা আছে আর মাত্র ১২ দিনের মতো। এখন আমরা মানুষের মধ্যে ব‌ই কেনার উদ্দেশ্যে মেলায় আসা এ ধরনের মনোভাব লক্ষ্য করছি। সামনের দিনগুলোতে বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে। ইতোমধ্যেই প্রায় সব নতুন ব‌ইমেলায় চলে এসেছে‌। পাঠকরা‌ও ব‌ই দেখছেন এতদিন, এখন কিনছেন। আগামীকাল ও পরশু ছুটির দিন রয়েছে‌। আশা করছি ভালো বিক্রি হবে।

দেশ পাবলিকেশন্সের বিক্রয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহন লাল। বেচা-বিক্রির অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব‌ই ভালো। প্রতিদিন‌ই আমাদের বিক্রি বাড়ছে। এটা আসলে প্রত্যাশিত ছিল যে, মেলার সময় যত বাড়বে সেসঙ্গে বিক্রি বাড়বে। এখন মেলায় পাঠকরা বেশি আসছেন। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রকিবুল হাসান জানান, ব‌ইমেলায় প্রতিবছর‌ই আসি‌। দূর থেকে আসি বলে মেলার মাঝামাঝি সময়ে  আসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধব রয়েছে তাদের সঙ্গে ব‌ইমেলায় আসি। প্রতিবার‌ই ব‌ইমেলায় কয়েকটি ব‌ই কেনার উদ্দেশ্যে থাকে। এবার‌ও কিনব। তবে ব‌ইয়ের দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে। বিক্রেতারা এর কারণ হিসেবে বলছেন কাগজ ও কালির দাম বাড়ায় ব‌ইয়ের দামেও প্রভাব পড়েছে।

এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো মেলায় এসেছেন হায়দার খন্দকার। পেশায় তিনি শিক্ষক। হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, এনিয়ে দ্বিতীয়বার বইমেলায় আসা। প্রথম দিন পরিবারের সঙ্গে এসেছিলাম। মেলা ঘুরে দেখেছি কিন্তু বই কেনা হয়নি। এবার আমি একাই আসলাম পছন্দের কিছু বই আছে সেগুলো কিনবো।

বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।