ঢাকা: লোকে লোকারণ্য স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শাহবাগ থেকে টিএসসি আর দোয়েল চত্বর থেকে বাংলা একাডেমি ও রমনা কালি মন্দিরের গেট, সবগুলো প্রবেশ পথেই বইপ্রেমীদের জটলা।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে বইমেলায় ফুটে উঠেছিল প্রাণের উচ্ছ্বাস। স্টল আর প্যাভিলিয়নে বইপ্রেমীদের ভিড়ে ভালো লাগার আবেশ ফুটে উঠেছিল একুশের মেলাজুড়ে। জনস্রোতের উপচেপড়া ভিড়ে হাতে হাতে বই ও ব্যাগ একুশের চেতনায় শাণিত বইমেলায় চিত্রিত হয়েছে শিল্পের সুষমা।
ভালোবাসা ও বসন্ত দিবসের পর গত কয়েকদিন মেলাজুড়ে যে খরা ছিল, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) একুশের বইমেলার ১৭তম দিনে সেই খরা কেটে গিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে বাঙালির প্রাণের বইমেলা।
এদিনের মেলায় প্রায় সব ধরনের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ছিল আশাব্যঞ্জক। তবে বড়দের বইয়ের চেয়ে এদিন শিশুতোষ বই বেশি বিক্রি হয়েছে। তৃতীয় শুক্রবার ও পঞ্চম ছুটির দিনের মেলায় ছিল এবারের পঞ্চম শিশুপ্রহর।
বেলা ১১টায় মেলার প্রবেশদ্বার খোলার পর টানা দুই ঘণ্টা ছিল শিশুপ্রহর। নির্ধারিত সময় দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর থাকলেও বিকেল পর্যন্ত শিশুপ্রহরে ছিল খুদে পাঠকদের ছোটাছুটি আর দুরন্তপনা। সিসিমপুরে হালুম, টুকটুকি আর শিকোর সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে ওঠার পাশাপাশি ভূতের বই, কার্টুনের বই, কমিকস, ঠাকুরমার ঝুলিসহ ভালো লাগার সব বই কিনেই এদিন মেলা প্রাঙ্গণ ছেড়েছে মেলায় আসা ছোট্ট সোনামনিরা।
এদিকে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপ-বিভাগের তথ্য মতে, শুক্রবার ১৭তম দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ২৭৬টি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি