ঢাকা: মেলার পরিসর বড় হলেও গুছিয়ে ওঠেনি একুশের বই মেলা। এখনো নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শনিবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মেলার প্রথম দিনে কোনো নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়নি।
এবার মেলা দুই প্রাঙ্গণে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বসেছে শিশুতোষ প্রকাশনীগুলো। আর রয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের স্টল। মিডিয়াসেল বসানো হয়েছে বর্ধমান হাউজে।
একাডেমির মূল গেটের অন্য পাশে প্রায় ২০০ মিটার দূরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দিরের পাশের মাঠে বসানো হয়েছে প্রকাশনীগুলোর স্টল। চারিদিকে বাশেঁর বেষ্টনী, টিনের বেড়া ঘিরে এ দিকের মেলা।
একাডেমি থেকে মেলার মাঝখানের পথটুকুতে এখনো আলোর ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়নি। তাই কিছুটা অন্ধকার এখনো।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ অংশের মেলায় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এখনো নেই। ৪টি মেটাল ডিটেক্টর ডোর পড়ে আছে মেলার প্রবেশ পথে, চালু হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও কম।
এ অংশের প্রবেশের পথেই রয়েছে ৠাব-৩ এর বুথ। এরপর মেলার প্রবেশ করে চোখে পড়ে এলোমেলো পরিবেশ। এখনো সবস্টল তৈরি হয়নি।
এখনো সূচিপত্র, মীরা, চেতনা, মাওলাসহ ২৫ শতাংশ স্টলেরই তৈরির কাজ চলছে। বেশিভাগ স্টলই এখনো পুরো বইয়ের বাজার নিয়ে বসতে পারেনি।
এখনো রংয়ের গন্ধ, বাঁশে পেরেক মারার আওয়াজ, ব্যানার টানানো, বই ওঠানোতেই ব্যস্ত মেলা প্রাঙ্গন।
প্রথমবারের মতো মেলা বাইরে হওয়াতে একটু ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুবর রহমান রিয়াদ। বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যে প্রাণ রয়েছে, এখানে সেটা নেই। একাডেমি থেকে উদ্যানের মেলায় আসতে বেশ কিছুটা পথ হাঁটতে হয়।
অন্যদিকে সূচিপত্রের প্রকাশক সাঈদ বারী বাংলনিউজকে বলেন, এবার মেলা বেশ খোলামেলা হবে। দর্শক বাড়বে। সকলেইতো আর বই কিনবে না। মেলায় অনেকেই ঘুরতে আসবে এর মধ্যে কেউ কেউ বই কিনবে। এটাই মেলার সৌন্দর্য্য।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪