বই মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ফেলে আসা সময়ের পিছু ডাকে স্মৃতিগুলোকে সুতোয় বেঁধে শিশু সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর লিখেছেন ‘সুতোয় বাঁধা পুতুল’।
সোমবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের স্মৃতিচারণমূলক বই ‘সুতোয় বাঁধা পুতুল’।
বইটি সম্পর্কে অনন্যা-র প্রকাশক হাফিজুল ইসলাম টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, লেখক বইটির নাম রাখতে চেয়েছিলেন ‘পুতুল’ নিয়েই কোনো কিছু। ‘নানা রঙের পুতুল’, ‘জীবনের পুতুল’ এমনি আরো কিছু নাম।
এক পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ালো ‘সুতোয় বাঁধা পুতুল’। লেখকের বন্ধু আমীরুল ইসলাম এটাই উপযুক্ত মনে করেন।
তবে লেখকের আরেক বন্ধু পরাগ আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, নাম নিয়ে আরো ভাবা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, এর পরবর্তীতে লেখক ভাবতে গিয়ে দেখলেন, বইটির নাম হওয়া উচিত ছিল ‘রবি থেকে শনির পুতুল’। দুবাই থেকে ঢাকা ফেরার পথে পঁয়ত্রিশ হাজার ফুট উপরে বসে নামটা ভেবে লেখক নিজেই পুলকিত হয়েছিলেন।
ভেবেছিলেন, প্লেন থেকেই নামের বিষয়ে আমাদের জানাবেন। কিন্তু, প্লেন থেকে নামার পরে লেখকের তিন বন্ধু এক সঙ্গে ‘সুতোয় বাঁধা পুতুল’ নামটি সমর্থন করায় এটাই চূড়ান্ত করা হলো।
তিনি আরো বলেন, এই বইটি লিখে লেখকের মনে হয়, তার ফেলে আসা জীবনটা ‘অর্ধেক পুতুল’-এর জীবন নয়, আমাদের চলমান জীবনটাই আসলে পুতুলের জীবন।
লেখক বইটিতে ছোটবেলার খাবার-দাবার, কম্পিউটার দম্পিউটার, জাদুর টাকা, কলের গান জীবনের, প্রথম ফ্ল্যাট, অলৌকিক, কক্সবাজার হবে কবে, স্মৃতির শাটার, ভূত বিশ্বাস করি, করি না, রহস্যময় রহস্য, মোহনার জানালা এবং মেঘনার জানালা মোট ১২টি গল্পের মধ্যে তার ফেলে আসা সময়ের স্মৃতি চারণ করেছেন।
এছাড়া নন্দিতা প্রকাশ থেকে তাসলিমা নাসরীনের একই ধরনের বই এসেছে ‘কঠিনের কড়িকাঠে’।
বইটি সম্পর্কে নন্দিতা প্রকাশের প্রকাশক ভবরঞ্জন ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, বইটিতে লেখক আমাদের জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের বিভিন্ন চিত্র সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪