বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী ছিলেন বাঙালি মুসলমানের এক বিরল রেঁনেসাস পুরুষ। সমকালীন সমাজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে তিনি যে উদার-অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচর্চা করেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর।
বুধবার সন্ধ্যায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে ‘বাংলার নবজাগরণে মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন, মাতৃভাষা বাংলার পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান তার প্রগাঢ় দেশপ্রেম ও প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মনিরুজ্জামান বলেন, মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী তার সম্পাদিত পত্রিকার মধ্য দিয়ে এক নির্বাচিত লেখকগোষ্ঠী তৈরি করেছেন যারা নারীজাগরণ ও সমাজবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার রচনাসমূহের একটি সুনির্বাচিত সংকলন প্রকাশ এবং তাকে নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার মধ্য দিয়ে বাঙালি মুসলমানের উদারনৈতিক অভিযাত্রার অভিমুখ আবিষ্কার করা সম্ভব হবে।
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসরাইল খান। তিনি বলেন, মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী ছিলেন বাংলার নবজাগরণের অন্যতম সারথী। সাংবাদিকতা ও সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি জাগরণের গান গেয়েছেন। তার সম্পাদিত কোহিনূর পত্রিকা বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসে এক অনন্য সৃষ্টি।
আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সুপারনিউম্যারারি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান, শফিউল আলম এবং রহমান হাবিব অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা শেষে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝর্ণা সরকার ও আয়েশা হক শিমু আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
এছাড়াও মাসুদা নার্গিস আনাম, মহাদেব ঘোষ, সুমন মজুমদার, ফারহানা ফেরদৌসী তানিয়া, আঞ্জুমান আরা শিমুল, মো. মফিজুর রহমান, মাহবুবা রহমান, মো. মুরাদ হোসেন, পারভীন আক্তার এবং আফসানা রুনা এবং ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’ সংগীত পরিবেশন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪